Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোটে না জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ৪:৪৪ পিএম

এখনও দুটি ধাপ বাকি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন ও বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ গঠনের প্রাথমিক বিল পাস হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। বিলের পক্ষে ১৯৬টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ৬৯টি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সরকার ব্যাকডোর পলিটিক্স করছে। এর ফলে হেরে যাওয়া তৃণমূল নেতারা বিধান পরিষদের সদস্য হয়ে মন্ত্রী হতে পারবেন। এমনকি মন্ত্রী হওয়ার জন্যে ভোটেও জিততে হবে না। উদাহরণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টিকে তুলে ধরেন তারা।

বলেন, মমতা উপ-নির্বাচনে জিতে না এলেও বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন।

অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য রাজ্য বিধানসভায় বিধান পরিষদ আসনকে ফের কার্যকরী করা। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর একবার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাড়া দেয়নি দেশের সংসদ। এবার বিধানসভা ভোটের আগেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের তার সরকার হ্যাটট্রিক করলে তিনি ফিরিয়ে আনবেন বিধান পরিষদ। সেই ঘোষণাকে গতকাল মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব।

জানা গেছে, বিজেপি বিধায়ক এবং সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বিপক্ষেই ভোট দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেসশূন্য রাজ্য বিধানসভায় তাদের প্রতিনিধি বিধান পরিষদ ফিরিয়ে দিতে পারে। সরকারি সূত্রে খবর, বাম-কংগ্রেসশূন্য রাজ্য আইনসভা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। তাই বিধান পরিষদ গঠিত হলে সেখানে জায়গা পেতে পারেন এ দুই দলের প্রতিনিধিরা। সংবিধান মতে, বিধান পরিষদ আদতে বিধানসভার উচ্চকক্ষ। যার গঠন সংসদের মতোই। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা। এখানেও সেই এক গঠন।

উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে এ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ কার্যকরী ছিল। তারপরে অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১ জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ তার অবলুপ্তি ঘটে। তবে বিধানসভায় পাস হয়ে গেলেও বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সিলমোহর দরকার। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয় ঘুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দু’কক্ষেই প্রস্তাবটি পাস করাতে হবে। তারপর চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর লাগবে। তবেই এ রাজ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ চালু হবে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ