Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংবাদ-স্বাধীনতা হন্তারকের বিশ্ব তালিকায় নাম মোদির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ৩:৪৬ পিএম

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা- হন্তারকদের বিশ্ব তালিকায় নাম উঠল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সম্প্রতি ‘প্রিডেটর্স অফ প্রেস ফ্রিডম’ ২০২১-এর তালিকা প্রকাশ করেছে রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স বা রিপোটার্স সান ফ্রন্টিয়ার্স (আরএসএফ) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আন্তর্জাতিক এই সংগঠন বিশ্বজনীন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। তাদের তৈরি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা-শিকারিদের তালিকায় বিশ্বের ৩৭ জন রাষ্ট্রনেতার নাম রয়েছে।

কেন মোদিকে ‘সংবাদ-স্বাধীনতা হন্তারক’দের তালিকায় রাখা হলো, তার সবিস্তার ব্যাখ্যাও রয়েছে আরএসএফের রিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, মোদি ২০১৪-র ২৬ মে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকেই ‘সংবাদ-স্বাধীনতা শিকারি’ রূপে অবতীর্ণ। তার শিকার করার পন্থাটাই হলে ‘জাতীয় জনপ্রিয় নীতি এবং ভ্রান্ত তথ্য’ তুলে ধরা। তার মূল শিকার ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ এবং ‘সংবাদমাধ্যম’। যে কোনও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বিষয়কেই বাঁকা চোখে দেখেছেন মোদি এবং তার দল বিজেপি। এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে মোদির রাজ্য গুজরাটের প্রসঙ্গও।

রিপোর্টের দাবি, ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ওই রাজ্যকে খবর এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার ল্যাবরেটরি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সারা দেশে প্রয়োগ করেন তার গুজরাট ‘মডেল’। তার মূল অস্ত্র হলো সংবাদমাধ্যমে নিজের জাতীয়তাবাদী বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়া। তা দিয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, যাদের হাতে সংবাদমাধ্যমের একাংশ রয়েছে। এবং ধীরে ধীরে সেগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ করা। সেই সংবাদসংস্থার সাংবাদিকদের ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেয়া, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এক লাইনও লেখা যাবে না বা কিছু দেখানো চলবে না। এর কোনও ‘অন্যথা’ হলে বা প্রতিবাদ করলেই, নেমে আসবে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ