মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আইনে নিষিদ্ধ হলেও ভারতের গ্রামগুলোতে গত কয়েক দশক ধরে যৌতুক প্রথায় বিশেষ কোনো ‘পরিবর্তন আসেনি’ বলে বিশ্ব ব্যাংকের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। সোমবার বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪০ হাজার বিয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণাটি চালানো হয়। ভারতে ১৯৬১ সাল থেকে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া বেআইনি হলেও গবেষণায় ৯৫ শতাংশ বিয়েতেই যৌতুক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ভারতের ৯৬ শতাংশ লোকের বসবাস এমন ১৭টি রাজ্যের যৌতুকের তথ্য এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করায় গ্রামগুলোর ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ গবেষণার কাজে যুক্ত অর্থনীতিবিদ এস অনুকৃতি, নিশিথ প্রকাশ ও সুংহ কৌন জানান, বিয়ের সময় দেওয়া উপহারের মূল্য এবং নগদ লেনদেন করা অর্থের তথ্য তারা ব্যবহার করেছেন যৌতুকের হিসাব বুঝতে। কনের পরিবার থেকে বরকে দেওয়া ‘উপহার’ এবং কনেকে বরের পরিবারের দেওয়া ‘উপহারের’ মূল্যের ব্যবধান থেকে ‘প্রকৃত যৌতুক’ বের করা হয়েছে। যেখানে গুটি কয়েক বিয়েতে কনেকে বেশি মূল্যের উপহার দেওয়ার নজির মিলেছে। গবেষণায় বলা হয়, কনে পক্ষকে ‘উপহার’ সামগ্রী দিতে গড়ে ৫ হাজার রুপি খরচ করেছে বরের পরিবার। কনের পরিবার থেকে এই খরচ গড়ে ৩২ হাজার রুপি যা ৭ গুনেরও বেশি। সেক্ষেত্রে ‘প্রকৃত যৌতুক’ দাঁড়ায় গড়ে ২৭ হাজার রুপি। পরিবারগুলোর আয় এবং সঞ্চয়ের বড় একটি অংশই যৌতুকের পেছনে খরচ হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালে ভারতের গ্রামগুলোতে প্রকৃত যৌতুকের গড় হার দাঁড়িয়েছে বার্ষিক আয়ের ১৪ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাংকের গবেষক দলের অর্থনীতিবিদ ড. অনুকৃতি বলেন, “আয় বিবেচনা করলে সময়ের সঙ্গে যৌতুকের পরিমাণ কমে এসেছে, কারণ ভারতে গ্রামীণ জনজীবনে বার্ষিক আয় বেড়েছে। “কিন্তু এটা একটা গড় ধারণা- প্রত্যেক পরিবারের আয়ের বিপরীতে যৌতুকের অঙ্কটি আসলে কত বড় তা হিসাব করতে হলে আমাদের পরিবারের আয়-ব্যয়ের তথ্য লাগবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের কাছে এমন তথ্য নেই।” দক্ষিণ এশিয়ায় কয়েকশ বছর ধরে যৌতুকের রীতি প্রচলিত আছে। সাধারণত কনের বাবা-মা বরের পরিবারকে ‘উপহার হিসেবে’ নগদ অর্থ, পোশাক এবং গয়না যৌতুক দিয়ে থাকে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।