বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সারাদেশে করোনা মহামারীর মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গ্রামেগঞ্জে মানুষের মধ্যে ঠান্ডা জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার প্রধান হাতিয়ার জ্বরের ওষুধ নাপা কটিয়াদীর ফার্মেসীগুলোতে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। যদিও দুই একটি দোকানে মিলছে তাও আবার চাহিদা ভেদে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বরের ঔষধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সকল ধরনের মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কটিয়াদী সদর হাসপাতাল রোড স্বপ্না মেডিকেল হল,গ্রীন মেডিকেল হল,আলতা মেডিকেল হল,এসআর মেডিকেল হল,কটিয়াদী পুরাতন বাজার অনাথ মেডিকেল হলসহ বাজারের সকল দোকান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকান গুলোতে মিলছে না জ্বরের ঔষধ বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ,নাপা ট্যাবলেট,নাপা এক্সটেন্ডেড,নাপা এক্সট্রা ,নাপা ওয়ান, এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচ,এইচ প্লাস,এইচ ৫০০ অনন্য কোম্পানির জ্বরের ঔষধ। আর ঔষধ সরবরাহের জন্য চাহিদা নিলেও কোম্পানিগুলো ওষুধ সরবরাহ করছে না।
কটিয়াদী পুরাতন বাজারের অনাথ মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী রনি সাহা বলেন,বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এনালজেসিক গ্রুপের কোন ওষুধ চাহিদার তুলনায় কম পাওয়ায় বিক্রয় করতে পারছিনা। ঔষধের চাহিদা নিলেও কোম্পানিগুলো ওষুধ সরবরাহ করছে না। এই গ্রুপের ওষুধ বেশি চলে কিন্তু সংকট থাকায় মানুষের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
কটিয়াদী হাসপাতাল রোড স্বপ্না মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী লিপটু সুত্রধর বলেন,বর্তমান সময়টাতে সর্দি-জ্বর রোগ বেশি হচ্ছে।এজন্য নাপা ও এইচ জাতীয় ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। এনালজেসিক জাতীয় ওষুধের উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ না করায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।
জ্বরের ঔষধ নিতে আসা মাসুম বলেন,বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরেও নাপা ট্যাবলেট, ড্রপ ও সিরাপ কিনতে পারিনি। এসে শুনি দোকানে নাকি জ্বরের ঔষধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কি কেউ ঔষধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।
বেক্সিমকোর রিপ্রেজেন্টিভ মোঃ কায়েস জানান,বর্তমানে সবার ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এই মাসের মধ্যে বাজারে ঔষধটির সরবরাহ সংকট ছিল। আস্তে আস্তে সরবরাহ বাড়ছে ।তবে অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
কটিয়াদী ঔষধ ফার্মেসীর সভাপতি হাদিউল ইসলাম জানান,আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা,নাপা এক্সটেন,সহ এই গ্রুপের ঔষধ গুলোর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতংকিত হবার কিছুই নেই খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল জানান, আমি এরকম কোন অভিযোগ পাইনি।ওষুধ ফার্মেসীদের সাথে কথা বলব।করোনা মহামারীর এ সংকট মুহূর্তে যদি কোন ঔষধ কেউ সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।