মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ফ্যাক্টরির জন্য কাতার অর্থ দেবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমের সাকারিয়া প্রদেশে ট্যাঙ্কের যন্ত্রাংশ নির্মাণের এক ফ্যাক্টরিতে বক্তব্য দেয়ার সময় রজব তাইয়েব এরদোগান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধ ট্যাঙ্ক তৈরির ফ্যাক্টরি দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত। এ ট্যাঙ্ক ফ্যাক্টরির অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে তুরস্কের অর্থ মন্ত্রণালয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, এ ফ্যাক্টরিটি তুরস্কের সম্পত্তি। এটি সব সময়ের জন্য তুর্কি অধিকারেই থাকবে। তবে তুরস্কের ট্যাঙ্ক ফ্যাক্টরির ৪৯ ভাগ অর্থ দিচ্ছে কাতার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা শিল্প ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা ও ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নেই।’ ফিরন্টিনা হাউইটজার ও পোয়েরাজ গোলাবারুদ বহনকারী যান এ ফ্যাক্টরিতে নকশা করা ও তৈরি করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন পরিবহন যানের লোহার চাকা বা ট্রাক ঠিক করা হয়। এ কারখানায় ট্যাঙ্কের যন্ত্রাংশের ডিজাইন করা ও উৎপাদনের কাজ করা হয় বলেও জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। রজব তাইয়েব এরদোগান আরো বলেন, আমরা এখানেই আলটাই ট্যাঙ্ক তৈরি করব। আমি আশা করি, ২০২৩ সালের প্রথমদিকে আমরা তুর্কি সেনাবাহিনীর হাতে এ ট্যাঙ্ক তুলে দিতে পারব। তুরস্ক ও কাতার হলো কৌশলগত মিত্র। তারা কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে সামরিক ক্ষেত্রে পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এ দু’দেশের মধ্যকার সামরিক চুক্তি অনুসারে গত বছর তুরস্ক কাতারকে দোহা নামের যুদ্ধজাহাজ প্রদান করেছে। ২০১৭ সালে সউদী আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিবেশী কাতারের ওপর স্থল, নৌ ও আকাশ পথে অবরোধ আরোপ করে। এ সময় তুরস্ক ও কাতারের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর এক খবরে বলা হয়, মিলগেম যুদ্ধজাহাজ প্রকল্প তুরস্কের জন্য বিপুল সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি সাফাক। জাতীয় যুদ্ধজাহাজ প্রকল্প (মিলগেম) হলো তুরস্কের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিষয়ক রফতানি খাত। এটা শুধুমাত্র একটি নিছক বিক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্প নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিরক্ষা কোম্পানি ‘মিলিটারি ফ্যাক্টরি অ্যান্ড শিপিইয়ার্ড ম্যানেজমেন্টের’ (আসফাট) প্রধান এসাদ আকগাম। তিনি বলেছেন, এ মিলগেম যুদ্ধজাহাজ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ব্যাপক ভ‚ামিকা রেখেছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম দু’টো যুদ্ধজাহাজ উৎপাদিত হবে তুরস্কে বাকি দু’টো জাহাজ উৎপাদিত হবে পাকিস্তানে। এ জাহাজগুলো ২০২৩ সালে সরবরাহ করা হবে। এসাদ আকগাম আরো বলেন, নৌবাহিনী ছাড়াও তুরস্ক পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে কাজ করছে। মাইন পরিষ্কারক যন্ত্রপাতি তৈরির প্রকল্প ‘মেকানিক্যাল মাইন ক্লিয়ারিং ইকুইপমেন্ট’-এর (মেমাটট) কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেয়ার কারণে তিনি তুরস্ক কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। তিনি এ প্রকল্পকে একটি বিপ্লবের সাথে তুলনা করেছেন। এ তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, এ মাইন পরিষ্কারক জাহাজগুলো তুরস্ক ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। এসাদ আকগাম বলেন, ‘আজারবাইজান তুরস্কের কাছ থেকে ২০ মাইন পরিষ্কারক জাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করেছে। কিন্তু তারা এ জাহাজ কেনার সংখ্যা আরো বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের সামরিক অস্ত্র রফতানি আরো বাড়বে বলেই আমাদের একান্ত আশা ও বিশ্বাস। এসাদ আকগাম বলেন, নির্ভুলভাবে আক্রমণ হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রিসিশন গাইডেন্স কিট-৮২’ (এইচজিকে-৮২) হলো আরেকটি বৈপ্লবিক প্রকল্প। এ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের ওপর তুরস্কের নির্ভরতা কমবে এবং তুরস্ককে প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত করবে। এছাড়া নির্ভুলভাবে আক্রমণ হানার এ প্রকল্প তুরস্ককে এমন সক্ষমতা দিয়েছে যে দেশটি তার পুরাতন যুদ্ধোপকরণ ও অস্ত্রগুলোকে আধুনিক করে ফেলতে পারবে। তুর্কি সমরাস্ত্রের এ আধুনিকায়নে দেশটির অন্য কারো সাহায্যও লাগবে না। মিডলইস্ট মনিটর, ইয়েনি সাফাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।