Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হাইহিল পায়ে কুচকাওয়াজে নারী সেনারা, সমালোচনার ঝড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ৩:৩৮ পিএম

ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের রাষ্ট্রীয় কুচকাওয়াজে হাইহিল পরে অংশ নেবেন নারী সেনারা। এ জন্য কুচকাওয়াজের অনুশীলন চলছে। ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এই মহড়ার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কুচকাওয়াজে নারীরা হাইহিল পরায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, যুবতী সেনা সদস্যদেরকে আবেদনময়ী দেখানোর জন্য এ ধরনের জুতা পরানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে যৌনভাবে হেনস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

আগামী ২৪ আগস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় ৩০ বছর আগে এদিন স্বাধীনতার দেখা পেয়েছিল দেশটির মানুষ। নানা আয়োজনে দিনটি উদ্‌যাপন করে ইউক্রেনের মানুষ। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হবে। সেখানে হাইহিল পরে অংশ নেবেন দেশটির সেনাবাহিনীতে কর্মরত নারীদের একটি দল। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ওই ছবিতে সেনাবাহিনীর নারী সদস্যদের কালো রঙের হাইহিল পরে কুচকাওয়াজের অনুশীলনে অংশ নিতে দেখা যায়।

হাইহিল পরে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনা ইভান্না মেদভিদ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রচারকারী ওয়েবসাইট আরমিয়াইনফর্মকে তিনি বলেন, ‘আজ প্রথমবারের মতো আমরা হাইহিল পরে কুচকাওয়াজের অনুশীলনে অংশ নিয়েছি। বুট পরে প্যারেডে অংশ নেয়ার চেয়ে এটা একটু কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ ছবি প্রকাশের পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে ভিতালি পোর্টনিকভ নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা মধ্যযুগীয় চিন্তাধারা। হাইহিল পরে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া নারীদের জন্য অবমাননাকর।’ মারিয়া শাপরানোভা নামের আরেকজন সমালোচনা করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ‘নারীদের প্রতি বিদ্বেষের’ অভিযোগ তুলেছেন। তিনি লিখেন, ‘হাইহিল নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একধরনের উপহাস।’

শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নয়, এই ছবি সামনে আসার পর সমালোচনায় সরব হয়েছেন ইউক্রেনের নারী রাজনীতিকেরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের ডেপুটি স্পিকার ওলেনা কোনদাতইয়ুক। তিনি বলেছেন, ‘নারীদের এভাবে অবমাননা করায় কর্তৃপক্ষের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ দেশটির রাজনৈতিক দল গোলোস পার্টির সদস্য ইন্না সোভসান নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর ও নির্বোধ একটি পরিকল্পনা। ইউক্রেনের নারী সৈন্যরাও পুরুষদের মতো জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। তাদের জন্য এমন উপহাস প্রাপ্য নয়।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ