বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাতারাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত “শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেক্ষাপট ও রাজনীতি” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলীয় প্রধান এড. বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, মুর্তোজা আলী চৌধুরী, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, মুর্তোজা আলী চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন , কাজী এ.এ কাফী, কেন্দ্রীয় নেতা তারেক জমির সজিব, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান গনি, খান আসাদ কাজী এ.এ কাফী ও খান আসাদ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯১১ সালে হিন্দুদের বিরোধিতায় বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষিত হলে, মুসলিমদের ধর্মীয় ও বুদ্ধিগত জীবনের কেন্দ্র ও শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলের মুসলমানদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের (১৯০৭-১৯১১) মুসলিম লীগ সাধারণ সম্পাদক নবাব সলিমুল্লাহসহ এ অঞ্চলের মুসলিম নেতৃবৃন্দ। বর্ণবাদী হিন্দুদের বিরোধিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা যেন বাতিল না হয়ে যায় সে জন্য নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকার শাহবাগ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিজ বাগান বাড়ীর জমি দান করেন, তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়ত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯১৫ সালে তার মৃত্যুর পর পূর্ববঙ্গ ও আসাম মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক শেরে-বাংলা এ,কে ফজলুল হকের বিরামহীন প্রচেষ্টায় ১৯২১ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, মুসলিম লীগ নেতারাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শেকড়-বিহীন ইতিহাস জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করে দেয় যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বিপদজনক। নেতৃবৃন্দ শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অতীত ও বর্তমানের সকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান এবং সকল বিরোধিতা, বৈরিতা এবং প্রতিকূলতা অতিক্রম করে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।