নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে ভাগ্য পুড়লো ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো। ম্যাচের যোগকরা সময়ে বসুন্ধরার পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরা।
আগের দিনের বৃষ্টির কারণে মাঠ ছিল ভারী। স্বাভাবিকভাবে দু’দলের খেলার গতিতে পড়েছিল টান। ঘটনাবহুল এ ম্যাচে গোলের দেখা পেতে মেজাজ হারিয়েছেন দু’দলের ফুটবলাররাই। যে কারণে প্রথমার্ধে মোহামেডানের নিয়মিত গোলরক্ষক হোসেন সুজন ও দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরার ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান লাল কার্ড দেখেন। দশজনের দলে পরিণত হয় দু’দলই। ভারী মাঠে আক্রমণে-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা মেলেনি।
বৃষ্টির কারণে মাঠ পিচ্ছিল থাকায় স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারেননি মোহামেডান ও বসুন্ধরার ফুটবলাররা। তবে প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল মোহামেডানই। যে কারণে বিরতির আগে বেশিরভাগ সময় বল ছিল বসুন্ধরার সীমানাতেই। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাদাকালোদের ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ঘটে অঘটন। এসময় দশজনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। বল নিয়ে এগিয়ে যান রবসন দ্য সিলভা ও বিপলু আহমেদ। ঠিক সেই মুহুর্তে বিপলুকে রুখতে গিয়ে বক্সের বাইরে চলে আসেন মোহামেডান গোলরক্ষক হোসেন সুজন। দুর্ভাগ্য তার। বল হাতে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে লালকার্ড দেখান রেফারি জসিম আক্তার। পরে মিডফিল্ডার অনিক হোসেন বেরিয়ে গিয়ে জায়গা দেন আরেক গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপুকে। ম্যাচের ৫১ মিনিটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান মোহামেডানের আরেক গোলরক্ষক বিপু। না আর লালকার্ড নয়। সৌভাগ্য তার, রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। ৭৬ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংসও। মোহামেডানের গোলরক্ষক বিপুকে ফাউল করার অপরাধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সুবাদে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যোগকরা চার মিনিটের খেলা চলছিল। যোগকরা সময়েরও তিন মিনিটে (৯০+৩) বসুন্ধরার বদলী ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষক বিপুকে পরাস্ত করেন বেসেরা (১-০)। উল্লাসে মেতে উঠে বসুন্ধরা কিংস শিবির। গোলের পরই লাইন্সম্যানের কাছে অফসাইডের দাবি নিয়ে ছুটে যান মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। কিন্তু সাড়া মেলেনি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ডাগআউটেও কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার ম্যাচ পর হারের বিষাদই সঙ্গী হয় মোহামেডানের। বিষণ্ণ মনে মাঠ ছাড়েন দলটি ফুটবলাররা।
ম্যাচ জিতে বসুন্ধরা কিংস ১৭ খেলায় ১৬ জয় ও এক ড্রতে ৪৯ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় সবার আগে থেকে শিরোপা পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সমান ম্যাচে মোহামেডান আট জয়, পাঁচ ড্র ও চার হারে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থান ধরে রাখলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।