মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার বৃহত্তম ও প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে দেশটির অভিনেতা, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারসহ ৭০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন কারাগারটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জৌ জৌ। -রয়টার্স, মিয়ানমার নাও
সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও তাদের প্রকাশিত খবরে জানিয়েছে, বুধবার ইয়াঙ্গুনের ইনসেইনসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ২০০০ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে দেশটির কারাবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইনসেইন কারাগারের প্রধান নির্বাহী জৌ জৌ জানিয়েছেন, বুধবার মুক্তি পাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে দেশটির ক্ষমতসীন জান্তাবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন কর্মীও আছেন। গত ফেব্রুয়ারির অভুত্থানের পর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। তবে কতসংখ্যক আন্দোলনকর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা জানায়নি ইনসেইন কারা কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ শাসনামলে ইয়াঙ্গুনের শহরতলী এলাকায় এই কারাগারটি তৈরী করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ ও প্রধান কারাগার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার কারামুক্তদের গ্রহণ করতে কারাগারের সামনে ভিড় করেছিলেন তাদের স্বজনরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে অপসারণ ও বন্দি করে জাতীয় ক্ষমতায় আসীন হয় সামরিক বাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরপরই ফুঁসে ওঠেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা। ক্ষমতাসীন সামরিক সরাকারের পদত্যাগ ও সু চির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে তারা শুরু করেন বিক্ষোভ ও আন্দোলন।
বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে দৃশ্যত সহনশীল থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে কঠোর তৎপরতা শুরু করে জান্তা। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামানের পাশাপাশি প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি গ্রেফতার করা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। মিয়ানমারের কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী বেসরকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৮৮৩ জন নিহত হয়েছেন,এবং কারাগারে অন্তরীণ আছেন ৫ হাজার ২০০-এরও বেশি বিক্ষোভকারী। কারা অন্তরীণদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেশটির প্রচলিত আইনের ৫০৫ (এ) পেনাল কোড অনুসারে মামলা করেছে জান্তা। মামলায় যারা দোষী বলে প্রমাণিত হবেন, তাদের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
গ্রেফতারদের মধ্যে মিয়ানমারের অভিনেতা, ক্রিড়াব্যক্তিত্ব, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারসহ বিভিন্ন অঙ্গণের সেলিব্রেটিরাও আছেন। অবশ্য দেশটির সামরিক বাহিনী পরিচালিত টিভি চ্যানেল মিয়াওয়াদি টেলিভিশনে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গণের ২৪ জন সেলিব্রেটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা বিষয়ক অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যাবহার করে অবৈধভাবে ভূমী অধিগ্রহণের অভিযোগে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করেছে জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর আদালতে সেই মামলাসমূহের বিচার চলছে। মিয়ানমার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই অভিযোগগুলোতে দোষী প্রমাণিত হলে ৭৬ বছর বয়স্ক সু চিকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাবাসে থাকতে হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।