প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
তিন মাসের কিছু বেশি সময় আইরাকে নিয়ে বাংলাদেশে ছিলেন মিথিলা। ঠিক ১০০দিন পর আবারও শ্বশুর বাড়িতে গেলেন মিথিলা। ৩০ জুন দুপুরে মেয়ে আইরাকে নিয়ে সড়কপথে ভারতে প্রবেশ করেন এই অভিনেত্রী। এতদিন পরে সৃজিতকে কাছে মেয়ে খুশি আইরাও। আসলে সৃজিতের সঙ্গে আইরার সম্পর্ক বন্ধুত্বের। ঠিক যেন প্রিয় বন্ধুকে কাছে পেল আইরা।
ভারতীয় সীমান্তে এসে সৃজিত মুখার্জি রিসিভ করে নেন স্ত্রী মিথিলা ও আইরাকে। সেখান থেকে একটি গাড়িতে করে কলকাতায় বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। এ সময় গাড়িতে বসেই তিনজনের হাসিখুশি একটি সেলফি নেন মিথিলা। পরে সেটি তিনি তার ফেসবুকে প্রকাশ করেন। ভ্রমণের আরও একটি ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন এই অভিনেত্রী।
প্রথম ছবি- ট্রলির উপর অনেকগুলো ব্যাগ। তার মাঝে বসে মেয়ে। আর ঝুঁকে পড়ে মেয়ের সঙ্গে গল্প করছেন বাবা। দ্বিতীয় ছবি- বাবার কোলে মেয়ে। অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে দু’জনের। এতদিনের জমে থাকা খোশগল্প চলছে। এই দুটো ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
এছাড়া মিথিলা-আইরার কলকাতায় ফেরার ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিতও। গাড়িতে মাঝে বসে আয়রা। দুপাশে তিনি এবং মিথিলা।
এই ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন, ‘দ্য মিথিলা রাজ বায়োনিক’। এতে রয়েছে সূক্ষ্ম রসবোধ। সৃজিত এখন মিতালি রাজের বায়োনিক ‘সাবাস মিঠে’-র পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত। সেই ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাপসী পান্না। তারই সূত্র ধরে মিথিলার ছবিতে ‘মিথিলা রাজ’-এর উল্লেখ বলে মনে করছেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য, আইরাকে নিয়ে লক-ডাউনের আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিলেন মিথিলা। বাংলাদেশে থাকলে বেশ কিছুটা সময় আয়রা তার বাবা অর্থাৎ তাসান খানের সঙ্গেও সময় কাটায়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও মিথিলা এবং তাসান নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
সম্প্রতি মিথিলা এবং তাহসান একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আইরার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তারা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আইরাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।