মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামির উত্তরে ১২ তলা বিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়জনে। চারদিন আগে ধসে যাওয়া ভবন থেকে রোববার উদ্ধারকারী দল আরও পাঁচটি মৃত দেহ উদ্ধার করে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মায়ামি-ডাড শহরের মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা বলেছেন, ছয় থেকে আটটি উদ্ধারকারী স্কোয়াড কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের কাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের জীবন বাঁচাতে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এ সময় তিনি ১৫০ জনের নিখোঁজের কথা জানান।
মায়ামির নিকটবর্তী সমুদ্রতীরের শহর সার্ফসাইডের কর্মকর্তা বলেছেন, আশা করেছি উদ্ধারকারী দল জীবিতদের বের করে আনতে পারবে। ভবনে আটকা পড়া সবাই এখনও মারা যায়নি।
ফায়ার চিফ অ্যালান কমিনস্কি রোববার বলেছেন, জীবিতদের কোন সাড়া শব্দ আমরা পাইনি। এটি অত্যন্ত কঠিন একটি পরিস্থিতি।
দুটি বড় ক্রেন এবং দুটি ব্যাকহোস ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কাজ করছিল। শনিবার যখন মেশিগুলো বন্ধ ছিল তখন থেকে শ্রমিকেরা হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করেছিল। উদ্ধারকাজে ইসরায়েল ও মেক্সিকোর অনুসন্ধানকারী কুকুর, সোনার, ড্রোন এবং ইনফ্রারেড স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে একটি ধোঁয়ার তৈরি হয়েছিল যা উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া এরিক ডি মউরা নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছেন। তিনি রয়টার্সকে জানান, ভবনটি ধসে পড়ার সময় তাঁর এখানে থাকার কথা ছিল কিন্তু এক বন্ধুর অনুরোধে সে এখান থেকে দুরে ছিল। তাই সে বেঁচে গেছে। তিনি বলেন, ঈশ্বরের কসম আমার কাছে এটি অলৌকিক ঘটনা।
এক টুইট বার্তায় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসকে ‘প্রয়োজন মতো সহায়তা’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভবন ধসের ঘটনা দেখা এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, ২০০১ সালে নিউ ইউর্কের টুইন টাওয়ার যেভাবে ধসে পড়ছিল ভবন ধস দেখে আমার সেরকম মনে হচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আরেক ব্যক্তি মিয়ামি হেরাল্ডকে বলেন, ধসের সময় আমার কাছে মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে।
মায়ামি সৈকতের উত্তরের সার্ফসাইড শহরের আবাসিক এলাকায় ওই ভবনটি ১৯৮০ সালে তৈরি করা হয়। ভবনটিতে মোট ১৫৬টি ইউনিট ছিল।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোররাতে ১৫৬ ইউনিটের ওই ভবনের প্রায় অর্ধেকটা আচমকা ধসে পড়ে। ৪০ বছরের পুরোনো ভবনটিতে এমন বিপর্যয়ের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ২০১৮ সালের এক নিরীক্ষায় সেটির নিচের দিকে পার্কিং গ্যারেজের অবকাঠামোতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছিল। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।