প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গ্রেফতার ব্যবসায়ী নাসির ও অমির বিরুদ্ধে মামলায় যে বিষয়গুলো তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়েছিলো, সে বিষয়গুলো নিয়েই সরাসরি জানতে চেয়েছে পুলিশ। সাভার মডেল থানায় প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এমন কথা জানালেন আলোচিত নায়িকা পরীমণি। এসময় পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকেও সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে পুরো সময়টিতে কোন গণমাধ্যমকর্মীকে সাভার মডেল থানায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরীমণির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও কোন তথ্য দেয়া হয়নি সাংবাদিকদের।
রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সাদা রংয়ের তার ব্যক্তিগত গাড়ি করে সাভার মডেল থানা থেকে বের হন পরীমণি। এসময় তার সঙ্গে কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ ৫জন অন্য আরেকটি গাড়িতে ছিলেন।
পরীমণি প্রথমে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি। পরে গাড়িতে বসেই পরীমণি বলেন, ওই রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে কি ঘটেছিল তা বলতেই তিনি থানায় এসেছিলেন। আরও আগেই আসার কথা ছিল কিন্তু অসুস্থতার কারণে আসতে পারেনি বলেন তিনি।
মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়ে পরীমণি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আপনারা সবাই আমাকে এতে সাপোর্ট দিচ্ছেন এতে আমি প্লিজড।
এরআগে দুপুর আড়াই টার দিকে ব্যক্তিগতসহ দুইটি গাড়ি নিয়ে সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হন পরীমণি। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টি পরীমণি ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লা হিল কাফীর কক্ষে অবস্থান করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেছেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আপাতত কোন তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।
এদিকে পরীমণি সাভার মডেল থানায় প্রবেশের সাথে সাথে থানার মুল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। গণমাধ্যম কর্মীসহ কাউকেই থানার ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছিলেন, ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার করা পরীমণির মামলায় গ্রেফতার উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত ২৩ জুন তাদেরকে সাভার মডেল থানায় আনা হয়।
পরীমণির অভিযোগ পূর্ব পরিচিত অমি গত ৮ জুন রাতে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে যান এবং সেখানে নাসির তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করেন। পরে সাভার থানায় পরীমণি মামলা করার পরপরই নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তাদের কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়ার কথা জানিয়ে আলাদা মামলা করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।