পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সমালোচক অ্যাকটিভিস্ট নিজার বানাতের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে। শনিবার তৃতীয় দিনের মতো প্রেসিডেন্ট আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন ফিলিস্তিনিরা। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সদর দফতরের সামনে শতশত বিক্ষোভকারী জড়ো হন। এসময় তারা ফিলিস্তিনি পতাকা ও বানাতের পোস্টার বহন করেন। বিক্ষোভকারীরা জনগণ চায় শাসকের পতন ও আব্বাস, পদত্যাগ করো স্লোগান দেয়। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দফতর অভিমুখে বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করলে আব্বাসের একদল সমর্থক এসে মিছিলে বাধা দেয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে মাহমুদ আব্বাসের সমর্থকরা এক পাল্টা মিছিল বের করে। এসময় তারা ‹জনগণ আব্বাসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়› স্লোগান দেয়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। একই সাথে হামলায় চার নারীসহ মোট পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের সংবাদদাতা শাজা হাম্মাদ টিয়ারগ্যাসের ক্যানিস্টারের আঘাতে আহত হন। হাম্মাদ অভিযোগ করেন, পিএ পুলিশ সাংবাদিকদের ‹পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু‹ করেছে এবং বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ ও গ্রেফতারে সাধারণ পোশাক পরা পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করেছে। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় পশ্চিম তীরের হেবরন জেলার দুরা শহরের নিজ বাড়ি থেকে নিজার বানাতকে আটক করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীন নিরাপত্তা বাহিনী। আটকের অল্প কিছু সময় পরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। লাশের ময়নাতদন্ত করা ডাক্তারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ে জানানো হয়, বানাতের শরীরে বিভিন্ন আঘাত ও ফ্রাকচার ছিল। এ থেকে তাকে প্রচন্ড মারধরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। বানাত একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি অ্যাকটিভিস্ট যিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিন্দার জন্য এর আগেও ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। স্থগিত হওয়া ২২ মের নির্ধারিত ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ প্যালেস্টিনিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী ছিলেন। পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।