মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এই প্রথম ড্রোনের মাধ্যমে হামলার ঘটনা ঘটল ভারতে। ভারতশাসিত কাশ্মিরের জম্মুতে বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন। বিমানবন্দরটি একইসঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ড্রোন ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীর সুরক্ষিত এলাকায় এমন হামলায় হতবাক দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে আইইডি বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ভারতে এটাই প্রথম।
হামলার পর পুরো ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ)। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার মধ্যরাতে চালানো এই হামলায় আহত হয়েছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২ সদস্য। হামলার কারণে তীব্র বিস্ফোরণ হলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রিমোট নিয়ন্ত্রিত ড্রোন ব্যবহার করে বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এরিয়া ও হেলিপ্যাডের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও হামলার টার্গেট ছিল হ্যাঙ্গার এরিয়া ও এয়ার ট্রাফিক সিগন্যাল বিল্ডিং। কারণ হ্যাঙ্গার এরিয়াতে এমআই-১৭ সামরিক হেলিকপ্টার ও পণ্যবাহী বিমান রাখা থাকে। আর ট্রাফিক সিগন্যাল বিল্ডিংও সামরিক বিমানঘাঁটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার রাত পৌনে ২টার দিকে বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এলাকায় প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে একটি ভবনের ছাদ উড়ে যায়। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ফের ড্রোন উড়িয়ে আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ভারতের অন্য বিমানবন্দরের তুলনায় জম্মুর বিমানঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কড়া। তা সত্ত্বেও কীভাবে বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এলাকায় বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে কি-না এবং ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়ে থাকলে সেটা কেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাডারে ধরা পড়ল না; এসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, এই সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত অবস্থিত। তবে ভারতের আশঙ্কার কারণ হলো- রোববার রাতে হামলায় ব্যবহার হওয়া ড্রোনের উপস্থিতি সামরিক বাহিনীর রাডারে ধরা পড়ে না। ফলে সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার জাল ভেদ করে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে ছোট ড্রোন। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।