বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সমতটের প্রাচীন জেলা কুমিল্লায় ঠেকানো যাচ্ছে না মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শনে সমৃদ্ধ আর খাদি, কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, রসমালাই ও শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠ হিসেবে খ্যাত বর্ণিল কুমিল্লা মাদকের বিষে নীল হয়ে পড়েছে। জেলা পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও হাইওয়ে পুলিশের সর্তক নজরদারি এবং অব্যাহত অভিযানের মধ্যেও মাদকের বিষাক্ত ছোবল তছনছ করে দিচ্ছে কুমিল্লার তরুণ-যুবসমাজকে।
কুমিল্লায় মাদক নির্ভরতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইয়াবা ও ফেনসিডিলসেবী। তবে বর্তমানে গাঁজার চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। কুমিল্লায় দুই শতাধিক শীর্ষ মাদককারবারি রয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল ও মে মাসে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যে ১৬ জন মারা গেছে তারা কুমিল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে তালিকার অন্যতম। ওই সময়ে বিশেষ করে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার ঘটনার পর তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল। পরবর্তীতে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা আবারও নড়েচড়ে ওঠে।
বর্তমানে জেলা পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও হাইওয়ে পুলিশ মাদকের বড় ছোট চালান আটক করছে। গ্রেফতারও হচ্ছে। কিন্তু মাদকের পাচার রোধ করা যাচ্ছে না। সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিনই অহরহ ঢুকছে মাদক। জেলা পুলিশ গত সাড়ে ৫ মাসে তিন হাজার কেজি (তিন টন) গাঁজা, লক্ষাধিক পিস ইয়াবাসহ প্রায় পৌনে ৯ কোটি অন্যান্য মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি দেড় হাজারের বেশি আসামি গ্রেফতার করেছে। র্যাবও মাদক বিরোধী অভিযানে ভালো করছে। এরমধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুমিল্লা কার্যালয়ে নতুন সহকারী পরিচালক যোগদান করেই ভিন্ন আঙ্গিকে অভিযান পরিচালনা করছেন। এ সংস্থার অভিযানে বেশিরভাগই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা মাদকের মূলোৎপাটন করার লক্ষ্যে মাদকের উৎস, মাদকের রুট ও মাদকপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিতকরণ, মাদক ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত, মাদক স্পটগুলো চিহ্নিত করছি। এ ধরণের কর্মপরিকল্পনা আমাদের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আরও বেগবান করবে।
এদিকে কুমিল্লার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নাম সংযোজন, বিয়োজন হলেও গডফাদাররা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকেই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের কারণেই কুমিল্লার তরুণ ও যুবকরা মাদকের বিষে নীল হয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষ প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সমাজ-সংসারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।