নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগে একই দিনে হারলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব আশরাফুল ঝড়ে নয় বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে হারায় শিরোপা প্রত্যাশি আবাহনী লিমিটেডকে।
আগের ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে নিজের ধীরগতির এক ইনিংস শেখ জামালকে প্রায় ডোবাতে বসেছিলেন আশরাফুল। তবে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তারই অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বড় জয় তুলে নিলো অভিজাত পাড়ার ক্লাবটি। খেলা দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফুল টি-টোয়েন্টির সেই ঝড়ো ব্যাটিংটা ভুলে যাননি। এখনও দেড়শর ওপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করার সামর্থ্য তার আছে। সামর্থ্য আছে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার।
শুধু ব্যাটে ঝড়ই তুললেন না, এবার দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন আশরাফুল। তার ৪৮ বলে ৭২ রানের হার না মানা ইনিংসেই কাল বড় জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে শেখ জামাল। দলের ব্যাটিং উদ্বোধন করে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলেছে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে নেয়া, তাও আবার ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে। মনে হয়েছে আশরাফুল সব কিছু মাথায় রেখেই অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলে দিয়ে নিজেকে উজার করে খেলেছেন। ৩৬ বলে ফিফটির ঘর যখন ছুঁয়েছেন, তখনও শেখ জামালের ৬ ওভারে দরকার ছিল ৫৪ রান। এর দুই ওভার পরই ১৭ ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান ঝড় তুলে দলকে এগিয়ে নেয়া আরেক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। তিনি ২২ বলে ৪ চার, ৩ ছয়ের মারে করেন ৩৬ রান। সোহান ফিরে গেলেও মাথা গরম করেননি আশরাফুল। জিয়াউর রহমান উইকেটে এসে মারমুখী ব্যাটিং করে তাকেও সঙ্গ দিয়েছেন। ৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কার মারে জিয়া শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। আশরাফুলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ২ ছয়ের মার। নাসির হোসেন ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৬ রান করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনী লিটন দাসের ৫১ বলে ৭০ আর নাইম শেখের ২৮ বলে ৪২ রানের ঝলমলে দুই ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান তুলেছিল। কিন্তু এমন পুঁজিও যথেষ্ট হলো না আশরাফুল-জিয়াদের অভিজ্ঞতার সামনে। শেখ জামালের এই জয়কে তারুণ্য ও অনভিজ্ঞতার বিপক্ষে অভিজ্ঞতার জয় বলা যায়। আবাহনী শেষদিকে নির্ভর করেছিল তাদের দুই তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও মেহেদি হাসান রানার উপর। কিন্তু অনভিজ্ঞ দুই পেসার অভিজ্ঞ আশরাফুল, সোহান ও জিয়াদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেননি। তাদের স্লোয়ার এবং শর্ট বলগুলোকে পেছন থেকে সময় নিয়ে খেলে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে জামালই। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান আশরাফুল।
একই মাঠে সুপার লিগের আরেক ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স তিন বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। টস জিতে গাজী গ্রুপ প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্র জানায় মোহামেডানকে। ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। ৩১ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তার ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মার ছিল। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩২ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে করেন ৪১। গাজী গ্রুপের রাকিবুল আতিক, মেহেদী হাসান ও মহিউদ্দিন তারেক পান ২টি করে উইকেট।
জবাবে ওপেনার মেহেদী হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৬ তুলে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। মেহেদী ৫৮ বলে ১১ চার ও ৩ ছয়ের মারে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন। সৌম্য সরকার করেন ১৭ বলে ২২ রান। তার ইনিংসে ছিল ২ চার ও ১ ছক্কার মার। মোহামেডানের আসিফ ৩ এবং শুভাগত হোম ও ইয়াসিন আরাফাত ২ টি করে উইকেট পান। ম্যাচসেরা হন মেহেদী হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।