মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে ডাক পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ কমপক্ষে ১৪ জন রাজনৈতিক নেতার। আগামীকাল ২৪ জুন দুপুর ৩টায় নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুখ আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর এবং পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি (সমস্ত প্রাক্তন সিএম) সহ জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের ডেকেছেন।
এছাড়া আবদুল্লাহ ও মুফতি, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সিপিআই (এম) নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান রেভেন্দর রায়না, জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেস প্রধান জি এ মীর, পিপলস কনফারেন্সের প্রধান সাজাদ লোন, আপনি পার্টির সভাপতি আলতাফ বুখারি এবং প্যান্থার্স পার্টির পৃষ্ঠপোষক ভীম সিংকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের চার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মুজাফার হুসেন বেইগ, তারা চাঁদ, নির্মল সিং এবং কবিন্দর গুপ্তাকেও এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এনসি এবং পিডিপি সভাপতিরা আমন্ত্রণের বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেওয়া হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা দলীয় বৈঠক ডাকছেন। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা নিয়ে কোনও স্পষ্ট এজেন্ডা নেই। তবে আমি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আমার দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিকে একটি বৈঠকের জন্য ডেকেছি। এনসি প্রধান ফারুখ আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করতে এবং আমরা যদি এতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই তবে একটি এজেন্ডা তৈরি করতে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে যা জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মেহবুবা, আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ওমরসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানকার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য এটিই কেন্দ্রের প্রথম পদক্ষেপ। সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পেছনে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের যত কাছাকাছি এসেছে, ততই দূরত্ব বেড়েছে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় কাশ্মীর নিয়ে ভারত যতটা নিরুদ্বিগ্ন ছিল, বাইডেনের আমলে তা নেই। কাশ্মীর প্রশ্নে ও মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ভারতকে এখন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সেটাও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।