মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চাকরির পাশাপাশি পরিবারে আরো বেশি সময় দিতে জাপান সরকার এবার নতুন উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। সপ্তাহে কর্মদিবস মাত্র চার দিনে নামিয়ে আনতে চাইছে তারা। সপ্তাহের বাকি তিন দিন থাকবে ছুটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাপানের বার্ষিক অর্থনৈতিক নীতি নির্দেশিকায় নতুন সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে সপ্তাহে গতানুগতিক ৫ দিনের পরিবর্তে কর্মীদের ৪ দিন কাজের সুযোগ দিতে সংস্থাগুলোকে অনুমতি দিতে বলা হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসে এরইমধ্যে জাপানি কর্পোরেট অফিসগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। মহামারির সংকট শেষ হওয়ার পরেও নিয়োগকারীরা কর্মীদের নমনীয় কাজের সময়, বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ, ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযোগ এবং অন্যান্য উন্নয়নের সুবিধা দেবেন সে বিষয়ে দেশটির রাজনৈতিক নেতারা আশাবাদী।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মদিবস চারদিন হলে প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষম ও অভিজ্ঞ কর্মীদের ধরে রাখতে সক্ষম হবে; পরিবার বা বয়জ্যেষ্ঠ সদস্যদের দেখাশোনা করার জন্যে কাউকে তখন চাকরির সঙ্গে সমঝোতা করা লাগবে না বা চাকরি ছেড়ে দিতে হবে না।
এছাড়া চার দিনের কর্মসপ্তাহ থাকলে মানুষ তাদের পড়াশোনা কিংবা অন্যান্য যোগ্যতা বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত মনোযোগ দেবার সুযোগ পাবে, অনেকে বর্ধিত সময়ে খণ্ডকালীন চাকরিও করতে পারবে। এতে করে প্রকৃতপক্ষে কর্মদক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে।
কর্তৃপক্ষ আরো মনে করে, সপ্তাহে একদিন অতিরিক্ত ছুটি পেলে মানুষ অবকাশ যাপনের জন্য সময় বেশি পাবে, নিজেদের মত করে বাইরে খরচ করবে, যা আখেরে দেশের অর্থনীতিকেই চাঙা করে তুলবে।
এছাড়া গত কয়েক বছর ধরেই জাপানে জন্মহার নিম্নমুখী। করোনা মহামারিতে জাপানে বিয়ের সংখ্যাও কমে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের প্রত্যাশা, চার কর্মদিবসের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তরুণদের কাছে যে বর্ধিত অবসর থাকবে সে সময় তারা বিয়ে, পরিবার এবং সন্তানের মত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে জাপানি প্রশাসন বেশ কয়েকটি উপায় অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু রাজস্ব নীতির গতিপথ তাতে বদলায়নি, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতেও এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা। ফলে কয়েক মিলিয়ন জাপানির জীবনযাপন প্রণালি এবং কাজের ধরনে পরিবর্তন আনার এই উদ্যোগের প্রয়াস নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।