মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। বৈঠকের পর উচ্ছ্বসিত এরদোগান সোমবার জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলবে বলে তিনি মনে করছেন।
সামরিক ক্ষেত্রে তুরস্কের সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণে এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশেই এরদোগানের প্রভাব বাড়ছে। ন্যাটো জোটের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার কারণেও তুরস্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এমন নয় যে, তুরস্কের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ আর নেই। এখনও অনেক বিষয়েই তারা একমত নয়। তা সত্ত্বেও এরদোগান মনে করেন, আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এরদোগান বলেছেন, ‘বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ছিল পুরোপুরি ইতিবাচক। আমরা আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের লাভ পুরোপুরি তুলতে বদ্ধপরিকর।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে আমরা বিদ্যমান সমস্যাগুলো সময়ের সাথে সমাধান করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে এমন কোনও সমস্যা নেই যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি না। এর বিপরীতে, আমাদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও বেশি এবং অনেক লাভজনক।’ এরদোগান জানান, ‘বাইডেন প্রশাসনের কাছে তার দুইটি দাবি আছে। সেগুলো হলো, প্রতিটি ক্ষেত্রে তুরস্কের আর্থিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বকে যেন সম্মান জানানো হয় এবং দেশের ভেতরে ও বাইরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা যেন তুরস্ককে সাহায্য করে।’
এরদোগানের প্রথম দাবির প্রেক্ষাপট হচ্ছে, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক সর্বাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কিনছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তুরস্কের হাতে এই ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ন্যাটোর অনেক প্রযুক্তি হাতিয়ে নিতে পারে রাশিয়া। যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তারা আরও বেশি প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে। ফলে তারা তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে। সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উৎপাদন কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেয়া, তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা, এবং সামরিক রফতানির লাইসেন্সের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ কারণেই তুরস্কের আর্থিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে সম্মান জানাতে বলেছেন এরদোগান।
আবার সিরিয়ার কুর্দিদের নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতবিরোধ রয়েছে তুরস্কের। এ কারণেই তিনি দ্বিতীয় দাবিটি করেছেন। তুরস্ক মনে করে, সিরিয়ায় সব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ, তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পিকেকে-কে সমর্থন করে। কিন্তু আমেরিকা কুর্দিদের কিছু সংগঠনকে সমর্থন করে। কারণ তাদের মতে, ওই সংগঠনগুলি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এরদোগান আবার অনেক সময়ই আমেরিকার ইসরাইল নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ইসরাইলকে সমর্থনের বিরোধী। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকা ও তুরস্ক সহযোগিতার রাস্তাতেও চলেছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়েও তারা একমত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।