Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেনিশ রূপকথা ফিনিশ স্বপ্নে চোট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রথম ম্যাচেই দলে হারায় মাঠেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসনকে। সেই হতাশা থেকেই কি-না, পরের দুই ম্যাচে টানা হার। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তীতে রাউন্ডে খেলতে হলে তাই শেষ ম্যাচে জিততে হবে কমপক্ষের দুই গোলের ব্যবধানে। পাশাপাশি খোঁজ রাখতে হচ্ছিল একই সময়ে রাশিয়ার ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া বেলজিয়াম-ফিনল্যান্ড ম্যাচেও। ফিনল্যান্ড বেলজিয়ামের কাছে হারলে এবং ডেনমার্ক নিজেদের ম্যাচটা বড় ব্যবধানে জিতলে গ্রæপের সেরা দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠবে ইউরোর শেষ ষোলোয়। ফুটবল যেন সব সমীকরণই মিলিয়ে দিল ডেনমার্ককে। রাশিয়াকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তারা। সঙ্গে বেলজিয়ামের কাছে ফিনল্যান্ডের হারে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরাই।
আগের দুটি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর শেষ ম্যাচে জিতে নকআউট পর্বে উঠবেন এমনটা ভাবেননি হয়তো ডেনিশরাও। তাই ম্যাচের আগেই তারা জানিয়েছিলেন এরিকসনের জন্য জিততে চান তারা। ম্যাচ জিতলেনও দুর্দান্তভাবে। ভাগ্যকে সঙ্গী করে এক জয়েই শেষ ষোলোতে। কোপেনহেগেনের পার্কেন স্টেডিয়ামে এদিন রাশিয়াকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় ডেনিশরা। অপর ম্যাচে ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েয়ে বেলজিয়াম।
শেষ বাঁশি বাজার পর কোপেনহেগেনে ডেনিশ সমর্থকদের উদযাপন ছিল দেখার মতো। ক্যাসপার স্মাইকেল, মার্টিন ব্রাথওয়েট, ইউসুফ পলসেনরাও শেষ ষোলোয় ওঠার আনন্দে উদ্বাহু নৃত্য জুড়েছিলেন। আনন্দের ধরন এমন হওয়াই স্বাভাবিক! রুপকথার মতো জয় তুলে নিয়েই যে গ্রæপপর্বের বাধা টপকে গেল ডেনমার্ক।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডেনিশ উইঙ্গার মিকেল ড্রামসগার্ডের অবিশ্বাস্য গোলে জয়ের অভিযাত্রার শুরু করে ডেনিশরা। দুরপাল্লার শটে করা তার গোলটি ছিল দেখার মতো। বিরতির পর ৫৯ মিনিটে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারে রাশিয়া। তাদের মিডফিল্ডার রোমান জোবনিন ব্যাক পাস দিয়েছিলেন গোলকিপারকে। দুর্বল সেই পাস ধরে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ইউসুফ পলসেন। ম্যাচের ৬৭ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে জমে যায় নাটক। এ সময় কোপেনহেগেনে গ্যালারির সমর্থকেরা আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন। ওদিকে রাশিয়ায় যে ফিনল্যান্ডের জালে একটি গোল করেছে বেলজিয়াম! কিন্তু গোলটি বাতিল হওয়ায় ¯øান হয় ডেনিশ সমর্থকদের আনন্দ। এর মধ্যে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের ব্যবধান ২-১ করে ফেলেন রাশিয়ার স্ট্রাইকার আরতেম জুবা।
কিন্তু এরপরই রুপকথার জয়ের পরিপ‚র্ণতা দিতে শুরু করে ডেনিশরা। ৭৯ থেকে ৮১ এই ৩ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল আদায় করে নেয় ডেনমার্ক। ৭৯ মিনিটে দুরপাল্লার শটে অবিশ্বাস্য এক গোল করেন আন্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ানসেন। এরপর ৮১ মিনিটে ডেনমার্ককে শেষ গোলটি এনে দেন জোয়াকিম মাহেলে। ওদিকে রাশিয়ায় ৭৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে ফিনল্যান্ডও পিছিয়ে পড়ে। আর ৮১ মিনিটে ফিনল্যান্ডের জালে শেষ গোলটি করেন রোমেলু লুকাকু।
আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে রাখা বেলজিয়াম এদিনের জয়ে তিন ম্যাচে প‚র্ণ ৯ পয়েন্ট পেয়ে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়। তিন ম্যাচের মাত্র ১টি জয় নিয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লিখিয়ে রূপকথার জন্ম দিয়ে ডেনমার্ক। তিন ম্যাচে ফিনল্যান্ডের পয়েন্ট ৩। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে অপেক্ষায় রইল দলটি। তৃতীয় হওয়া সেরা চারের তালিকায় থাকলে হয়তো ভাগ্যের শিকে খুলতে পারে তাদের। ফিনল্যান্ডকে এখন ছয়টি গ্রæপে তৃতীয় হওয়া ছয় দলের মধ্যে শীর্ষ চারে থেকে শেষ ষোলোয় ওঠার প্রার্থনা করতে হবে। আর ৩ ম্যাচ শেষে রাশিয়ার (-৫) সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট হলেও গোলব্যবধানে গ্রæপের তলানির দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ল তারা।
দলের এমন অর্জনে সদ্যই হাসপাতাল ছাড়া এরিকসেনের চেয়ে বেশি খুশি হবেন আর কে!

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ