Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মীয় উদারিকরণের সাথে প্রশাসনিক ক্ষমতায় নিয়ন্ত্রণ আনছে সউদী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২১, ৭:০৪ পিএম

নামাজের জন্য আহ্বান জানিয়ে মসজিদ থেকে মাইকে আজান প্রচার দীর্ঘদিন ধরেই সউদী সংস্কৃতির অংশ। তবে মসজিদের লাউডস্পিকারগুলোর উপরে বিধি-নিষেধ জারির মতো বিতর্কিত সংস্কারগুলোর কারণে দেশটির কঠোর ধর্মীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

তেল-নির্ভরশীল অর্থনীতি থেকে সউদীকে বের করে আনতে বৈচিত্র্যকরণের প্রয়োজনে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান উদারিকরণের অভিযান শুরু করেছেন। এর ফলে সউদীর আরবের কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় পুনর্বাসনের মুখোমুখি হয়েছে। গত মাসে সেখানে আদেশ দেয়া হয়েছে যে, মসজিদ লাউডস্পিকারগুলো শব্দদূষণ সৃষ্টি করায় সেগুলোর ক্ষমতা সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এবং এতে পূর্ণ খুতবা প্রচার করা যাবে না।

হাজার হাজার মসজিদের দেশটিতে এই পদক্ষেপ ‘আমরা মসজিদ স্পিকারদের প্রত্যাবর্তন দাবি করছি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে একটি অনলাইন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। এই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে রেস্তোঁরাগুলোতে উচ্চস্বরে সংগীত বাজানো নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়, যা একসময় দেশটিতে নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু উদারীকরণের প্রচেষ্টায় এখন প্রচলিত রয়েছে। একই সাথে মসজিদগুলোতে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে জমায়েত হতে আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাইরে সমবেতদের জন্য কর্তৃপক্ষ লাউডস্পিকারের শব্দ বাড়াতে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।

তেল-উত্তর যুগের অর্থনৈতিক সংস্কার ধর্মের চেয়ে প্রাধান্য পাবে বলে কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিদ প্রভাষক আজিজ আলঘাশিয়ান বলেন, ‘দেশটি তার ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে, এটি অর্থনৈতিকভাবে পরিচালিত একটি দেশ হয়ে উঠছে। বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের কাছে আরও সেটি আবেদনময়ী করে তোলা বা তাদের ভীতি কমানোর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ধর্মীয় উদারিকরণের পাশাপাশি সউদীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ক্ষমতাও হ্রাস করা হয়। ফলে যারাই একসময় তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তারাই এখন সরকারী সিদ্ধান্তগুলোকে সমর্থন করা শুরু করেছেন। এর মধ্যে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া এবং সিনেমা হলগুলো পুনরায় খোলার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ-মুসলিমদের ‘শুকর’ এবং ‘বানর’ বলে উল্লেখ করা সুপরিচিত রেফারেন্সগুলো বাতিল করতে সউদী স্কুলের পাঠ্যপুস্তকগুলো সংশোধন করছে। দেশটিতে এখনও অন্য কোন ধর্মের অনুশীলন নিষিদ্ধ রয়েছে, তবে সরকারী উপদেষ্টা আলী শিহাবী সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, একটি গির্জার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নেতৃত্বের ‘করণীয় তালিকায়’ রয়েছে। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিব্রিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ