বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সুইপারের ১৬ বছরের এক কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাড়ি ফিরে এসে ঐ কিশোরী যেখানেই আশ্রয় নিতে চেয়েছেন সেখানেই হয়েছেন ধর্ষণ চেষ্টার শিকার। কৌশলে বাঁচার পর এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ঐ কিশোরীর মা। আর অসুস্থ কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তালুক বাজিত (ধনিয়ারকুড়া) গ্রামের মহাবীর বাঁশফোড়ের ১৬ বছরের কিশোরী কন্যার সাথে পাশের পশ্চিম রামজীবন গ্রামের জামালের ছেলে মোত্তালেবের (৩৬) সাথে মোবাইলে পরিচয় ও প্রেম হয়। সেই সুবাদে এপ্রিলের ১২ তারিখে মোবাইলে ধনিয়ারকুড়া বাজারের পাশে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে মোত্তালেব তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এভাবে মাসাধিককাল আটকে রেখে ধর্ষণ করে ১৭ মে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানেও বাসা ভাড়া নিয়ে কিশোরীসহ অবস্থান করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ১৩ জুন মোত্তালেব ঢাকা থেকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে কিশোরী অটোবাইক যোগে ধনিয়ারকুড়া বাজারে ফিরে যায়। অন্য ধর্মের লোকের সাথে চলে যাওয়ায় তার নিজের বাড়িতেও উঠতে দেয়া হয়নি। কিন্তু কিশোরীর মায়ের মন মানেনি। তাই গোপনে জনৈক খলিফার মেয়ের বাড়িতে কিশোরীকে রেখে দেয় তার মা। কিন্তু লোকজন জানতে পেরে ওই বাড়িতে থাকতে দেয়নি। পরদিন ১৪ মে পশ্চিম রামজীবন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে হায়দার মেম্বারের বাড়িতে কিশোরীকে রেখে দেয়া হয়। ওই রাতে হায়দার মেম্বার নিজেই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালালে কিশোরী কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে ধনিয়ারকুড়া বাজারের নাইটগার্ড আব্দুল মতিনের সাহায্য কামনা করে। তালুক বাজিত গ্রামের ইসি আকন্দের ছেলে আ. মতিন পশ্চিম রামজীবন গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জলের বাড়িতে রাখার আশ্বাস দেন।
মোফাজ্জলের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনিও ধর্ষণের চেষ্টা চালান। হাসপাতালে চিকিৎসারত কিশোরী জানান, মতিনের হাত-পা ধরে ধর্ষণ থেকে রেহাই পান। এরপর মোফাজ্জলের বাড়িতে থাকা অবস্থায় পরদিন রাতে তিনিও কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ পরিস্থিতিতে কিশোরী ভোর রাতে মোফাজ্জলের বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে আবারও ধনিয়ারকুড়া বাজারে ফিরে যায়। তখন কিশোরীর মা পরিবারের সকল বাধা উপেক্ষা করে কিশোরীকে বাড়িতে ঠাঁই দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করে বিচার কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনার বিচার ইউপি চেয়ারম্যানের আওতার মধ্যে না থাকায় থানা পুলিশকে খবর দিয়েছি। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতরা গা ঢাকা দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ্য অবস্থায় গত শুক্রবার কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতেই কিশোরীর মা মালতী বাঁশফোড় ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় মোত্তালেব, হায়দার মেম্বার, আ. মতিন ও মোফাজ্জলকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।