Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরে সহপাঠিদের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৫) দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দেওবাড়ি চাকলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের জিন্নাহ মিয়ার ছেলে সহপাঠী সুমন আহমেদ (১৬)সহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ধর্ষিত কিশোরীর মামা। মামলা সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর গত ৬ মে ওই কিশোরী তার মামার বাড়ি উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে বেড়াতে যায়। ০৭ মে ভোরবেলা ওই কিশোরীকে ওই বাড়ির পাশ থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় সহপাঠী সুমন ও তার লোকজন। গত দুইদিন খোঁজাখুজির পর গত ৯ মে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সখিপুর পৌর এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সখিপুর থানা পুলিশ।এ সময় ধর্ষিত কিশোরী তার সহপাঠী সুমনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে তার মামা বাদী হয়ে সহপাঠী সুমনসহ চারজনকে আসামি করে সখিপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার বাদী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বলেন- মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক সুমনসহ অন্যান্য ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো.শরীফুল ইসলাম
সখিপুর,টাঙ্গাইল।

পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়
কাল অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে
চাঁদপুরে অভিযুক্ত চার ধর্ষকের একজনের সঙ্গে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেছে গ্রামের মাতব্বরা। এজন্য ওই চার ধর্ষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করেছেন তারা।

এ জরিমানার টাকা দিয়ে শনিবার (১১ মে) বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অভিযুক্ত চার ধর্ষকের মধ্যে পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হবে ওই কিশোরীর। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ীতে।

জানা যায়, দরিদ্র এক ভিখারির ১৭ বছর বয়সী কিশোরী ৩ মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি ধরা পড়ে। কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একই বাড়ির চার যুবকের নাম। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতব্বররা। তারা অভিযুক্ত চার যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখেন। সেই টাকা দিয়ে শনিবার (১১ মে) কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেছেন মাতব্বরা।

অভিযুক্ত ওই চার ধর্ষক হচ্ছেন, একই বাড়ির ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০)।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, অর্থদ-ের টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। আমরা সমাজের ইজ্জত রক্ষার্থে বিয়ের ব্যবস্থা করছি। সকল প্রস্তুতি শেষ। শনিবার বিয়ে দেব। তবে পাত্র ওই কিশোরীর পছন্দমতো যে কেউ একজন হবেন।

এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল জানান, এ ঘটনা কেন্দ্র করে আমরা এলাকায় সালিশ করেছি। অভিযুক্ত চার যুবককে অর্থদ- দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, আমি ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত কিছু পরে আর জানতে পারিনি।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ আসেনি।

বি এম হান্নান
তাং ১০-০৫-২০১৯



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিশোরী ধর্ষণ

১৫ অক্টোবর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ