পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রস্তাবিত বাজেটে জীবন-জীবিকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসুরক্ষা, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি। এছাড়া বিনিয়োগ ও কৃষিখাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। বাজেটকে গণমুখী বলে দাবি করেছেন সরকারপক্ষ। তাদের মতে, এটি একটি সংকটকালীন বাস্তবভিত্তিক সময়োপযোগী বাজেট। তারা বাজেটের মধ্যে কোনো নেতিবাচকতা খুঁজে পান নি। সব সরকারের আমলেই বাজেট সম্পর্কে সরকার পক্ষের অবস্থান এমনই থাকে। আর বিরোধীদলের অবস্থান থাকে ঠিক তার বিপরীত। বিরোধীপক্ষ তাই এটাকে তোষণনীতির বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে। কেউ কেউ এটাকে ক্ষমতাসীনদের ভবিষ্যৎ গড়ার বাজেট হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছেন, করোনাকালীন বাজেট হওয়া উচিত ছিল মানুষ বাঁচানোর বাজেট। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তার ছিটেফোটা প্রতিফলনও নেই। সংসদে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এটিকে একটি গতানুগতিক বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘জীবন-জীবিকার প্রাধান্য দিয়ে আগামীর পথে বাংলাদেশ’। কথাটি শুনতে ভালো হলেও কথায় আছে ‘উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট’। বাজেট উত্থাপনের পর সেটাই প্রমাণিত হলো। কারণ, দেশের সর্ববৃহৎ আকারের এ বাজেট অনেকাংশেই ঋণনির্ভর। ইতিপূর্বে এরকম ঋণনির্ভর বাজেট সংসদে কখনও উত্থাপিত হয়নি। আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।” অবশ্য বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাজেটের লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন। তবে বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব করার চেষ্টা করেছে সরকার। তবে বাজেট বাস্তবায়নে আয় বৃদ্ধির কোনো কৌশল নেই। বিএসএসসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট সন্তোষজনক হয়েছে। পুঁজিবাজারের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বাজেটে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং মহামারী থেকে ফিরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে ধরনের বাজেট প্রয়োজন ছিল, সেটা প্রস্তাবিত বাজেটে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সরকার ঘোষিত বাজেটের পূর্বেই গত ১ জুন বিকল্প বাজেটপ্রস্তাব পেশ করেছে। এ বাজেটপ্রস্তাব পেশ করেন সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারাকাত। তার প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। সমিতি বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বিকল্পবাজেট পেশ করে আসছে। ২০২১-২২ সালের সর্বশেষ এ বাজেটটি সমিতির সপ্তম বিকল্পবাজেট। ড. বারাকাতের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এ বাজেট অনেকটা সম্প্রসারণমূলক, যা সরকার ঘোষিত বাজেটের ৩.০৬ গুণ বেশি। আর ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ সরকার ঘোষিত বাজেটের প্রায় অর্ধেক। প্রফেসর বারাকাত এই সুবিশাল বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব আয়ের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, এ বাজেট বাস্তবায়নের জন্য দেশের রাজস্ব থেকে ৯২ দশমিক ২০ শতাংশ রাজস্ব আদায় হওয়া সম্ভব। এ বিপুল রাজস্ব আয় দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন কিছুই না। আর ঘাটতি বাজেটের জন্য কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ কিংবা দেশি-বিদেশি ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন। ঘাটতি বাজেট পূরণে তিনি বন্ডবাজার, সঞ্চয়পত্র আর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্ডবাজার থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা বের করা সম্ভব। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বের করে আনা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
দেশে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৮০ লাখ। এ বিপুল জনসংখ্যার ৫ কোটিই খন্ডকালীন কর্মের সাথে জড়িত। অর্থাৎ সাময়িককালীন কর্মজীবী। এসমস্ত কর্মজীবী মানুষগুলো ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, কৃষি, শাক সবজি চাষ, পশুপালন কিংবা মৎস্য ও জল সম্পদের কর্মে জড়িত। এদের পকেটে টাকা নেই, ঘরে চাল নেই, চুলা নেই। এরা নিঃস্ব, সর্বহারা ও হতাশাগ্রস্ত। এদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এদের স্বাস্থ্য, খাদ্য, জীবন-জীবিকা, চিকিৎসা ইত্যাদি একমাত্র ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। এ সমস্যাগুলো বিবেচনায় এনে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত বলে অর্থনীতি সমিতি মনে করে। অন্যদিকে ইউনিসেফের বরাতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বাংলাদেশে ৮০০০ শিশু জন্মগ্রহণ করছে। আর প্রত্যেকটি শিশু প্রায় ৬০ হাজার টাকা বাজেট ঘাটতি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। তার মানে দাঁড়ায়, প্রতিদিন ৪৮ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে ৮০০০ শিশু। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে যেমন কিছু বলা হয়নি। তেমনি উল্লেখিত ছিন্নমূল ব্যক্তিদের জন্য কোনো সুখবরও রাখা হয়নি। তাদের পুনর্বাসনের জন্যও দেয়া হয়নি কোনো সুপারিশ। বাজেট বাস্তবায়ন ও এসব হতদরিদ্রের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে অর্থনীতি সমিতি কতিপয় পরামর্শ উত্থাপন করেছে। পরামর্শগুলো হলো: ১. ধনী-বিত্তশালীদের উপর সম্পদ কর আরোপ করা। ২. সুপার ধনীদের উপর কর হার বাড়ানো। ৩. শেয়ার বাজার এবং বন্ডবাজারে বড় বিনিয়োগের উপর সম্পদকর আরোপ করা। ৪. অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর হার বাড়ানো। ৫. অবৈধ কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করে তা উদ্ধার করা এবং ৬. পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা।
করোনা মহামারির মধ্যেও বিত্তশালীরা লকডাউনের সুযোগে ইচ্ছামত অনলাইন ব্যবসা করে নিচ্ছে। অবশ্য দুর্বৃত্তশ্রেণী ও লুটেরা মহামারিপূর্ব সময়েও বসে নেই। তারা নিম্নবিত্ত, নিঃস্ব আর শ্রমজীবীদেরকে বিত্তবৈভবের যাঁতাকলে নিস্পেষিত করে কালো টাকার পাহাড় গড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে টাকা বিদেশে পাচারের মাধ্যমে দেশকে মারাত্মক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিগত ৪৬ বছরের কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৮৯ লাখ কোটি টাকা বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আর একই সময়ে দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ কোটি। এ বিপুল কালো টাকা থেকে সম্পদকর বাবদ ৫০ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব।
সকলের কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবিত বাজেট পাশ করার জন্য সংসদে এখন তা আলোচনাধীন। সরকার ইচ্ছা করলে উল্লেখিত পরামর্শ আমলে নিতে পারে। আমলে না নিলে এটি জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হবে। অতঃপর বাস্তবায়নের জন্য গেজেটভুক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পৌঁছে যাবে। সরকার আরেকটি বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে পারে। আর সেটি হলো যাকাতব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। তাদের ধর্মবিশ্বাস হলো ইসলাম। আর যাকাত হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উৎস। সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র ও নিঃস্বদের মধ্যে বণ্টন করাকে যাকাত বলে। দরিদ্রের প্রতি দায়িত্বশীল হবার বড় মাধ্যম এটি। এটি কালোটাকা গড়ে তোলার বিপক্ষে প্রাক্টিক্যাল প্রশিক্ষণ। লোভ নিয়ন্ত্রণের একটি বড় মাধ্যম। এর মাধ্যমে একটি দেশের দারিদ্র্য ও কৃপণতা উচ্ছেদ হতে পারে। সঠিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে জাতিকে স্বনির্ভর ও উন্নত করা যেতে পারে। সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করবার বাস্তবধর্মী এক পদক্ষেপ হতে পারে যাকাত। আয়বৈষম্য দূর হবার বিশেষ মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে এটি। বিত্তশালীদের প্রতি বঞ্চিতদের ক্ষোভ ও হিংসা দূর হওয়ার বাস্তব এক অনুশীলনের নাম হলো যাকাত। আর এর দর্শন হলো, অর্থ শুধুমাত্র ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হওয়া। (সূরা: আল হাশর ৭)। জানা যায়, বাংলাদেশে ১১ জন শীর্ষ ধনী আছেন, যাদের মোট টাকার পরিমাণ এক লাখ ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তা প্রস্তাবিত বাজেটের এক ষষ্ঠমাংশের বেশি। এ টাকা থেকে শতকরা ২.৫০% হারে যাকাত আদায় করলে আদায় হবে দুই লাখ ৯২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত এবং বিকল্প প্রস্তাবিত বাজেটে যে ঘাটতি উল্লেখ করা হয়েছে, সহজেই এ টাকা দিয়ে এ ঘাটতি পূরণ হওয়া সম্ভব। উল্লেখিত টাকা বাংলাদেশের ৪৫৭১টি ইউনিয়নে ভাগ করে দিলে প্রতিটি ইউনিয়ন ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৭৭ টাকা করে পাবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা খুবই সহজ হবে বলে ধারণা করা যায়। অন্যদিকে খবরে প্রকাশিত, দেশে সোয়া ২ কোটি টাকার মালিক আছেন এমন লোকের সংখ্যা ১৩ হাজার জন। এদের সকলের মোট টাকার যোগফল ২৯ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা প্রস্তাবিত বাজেটের প্রায় ৫ গুণ। এ টাকা থেকে শতকরা ২.৫০% হারে যাকাত আদায় করলে আদায় হবে ৭৩ হাজার একশত ২৫ কোটি টাকা। বাজেট নির্ধারণ, বাস্তবায়ন এবং ঘাটতি বাজেট পূরণে এ টাকা একটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। রাষ্ট্রকর্তৃক এ টাকা আদায়ের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য অনেকাংশে দূর করা সম্ভব। বর্ণিত সমীক্ষা দু’টি শুধুমাত্র ১৩০১১ জনের উপর। কিন্তু প্রকৃত হিসেবে যাকাতযোগ্য টাকা হবে আরও অনেক বেশি। কারণ, দেশে করদাতার সংখ্যা ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার জন। এদের মধ্য হতে অমুসলিম ব্যতীত সকলের উপরই যাকাত ফরজ, যাদের উপর সরকার যাকাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। কর আদায়ের মতো যাকাত আদায়ের ব্যাপারেও সরকার আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে পারে। আর এর মাধ্যমে সরকারের বাজেটখাত সমৃদ্ধ হতে পারে। এখন পাঠকরাই বিবেচনা করে দেখুন! সকলের কাছ থেকে যাকাত আদায় করলে কত টাকা যাকাত আদায় হবে। আর দেশের দারিদ্র্য দূর হতে কত সময় লাগবে, সমীক্ষা দু’টিতে ত্রুটি থাকতে পারে। প্রকৃত হিসেব কম-বেশি যা ই হোক না কেন, বাজেটে যাকাতকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আর এর সুষ্ঠু ব্যবস্থপনার মাধ্যমে দেশকে সাবলম্বী করতে ৫ বছরের বেশি লাগার কথা নয় বলে আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশ সবেমাত্র এলডিসি অতিক্রম করলেও এখানে রয়েছে ৪০ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন পরিবার। রয়েছে ১৩ লাখ পথশিশু। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) বলেছে, দেশে বেকার তরুণ-তরুণীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। করোনা মহামারী এসব মানুষদেরকে আরো বড় অসহায় করে তুলেছে। চাকরি হারা হয়ে মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামমুখী হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বহুমাত্রিকতায় রূপ নিয়েছে। এ দারিদ্র্য দূর করতে প্রস্তাবিত বাজেটে সুস্পষ্ঠ লক্ষ্য নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি। আর এ লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে বড় সহায়ক হতে পারে সুষ্ঠু যাকাতব্যবস্থাপনা। সুষ্ঠু যাকাতব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোকে সহজেই পুনর্বাসন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বৃহত্তর জেলাগুলোতে একটি করে কারখানা নির্মাণ করা যেতে পারে। শিক্ষিতবেকার তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতানুযায়ী তাদেরকে সেখানে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। স্বল্পপমেয়াদী কর্মমুখী প্রশিক্ষণ হাতে নিয়ে বাকিদেরকেও পুনর্বাসন করা যেতে পারে। আর এভাবেই পারস্পারিক সমঝোতামূলক একটি বাজেট দেশের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।