বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক চেয়ারম্যান ও ৪ জন মেম্বার প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মমিনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অটোরিক্সা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক অপু অভিযোগ করেন, তিনি ১৫-২০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে তার বাড়ির কাছে জাকির হোসেন দফাদারে ঘরে বসে আলোচনা করছিলেন। এসময় নৌকা মার্কার প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকুর ভাই সুজন তালুকদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের বেড়া দরজা কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এসময় বাধা দিলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। তাকে রক্ষা করতে এসে হামলার শিকার হন রাজিব (২২), মিজান সিকদার (৫০) মাহফুজা বেগম (৫০) গোলনুর বেগম (৪০) ও জেসমিন বেগম (৩৫)।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা মার্কার প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, মমিনপুর গ্রামে নৌকার সমর্থনের ৪ মেম্বার প্রার্থীসহ ২০-২৫ জন কর্মী সমর্থক বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। এসময় অটোরিক্সা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী অপুর নেতৃতে ১৫-২০ জন কর্মী সমর্থক তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তালা মার্কার মেম্বার প্রার্থী আলাল ফারাজী (৪৫), মোরগ মার্কার মেম্বার প্রার্থী হাবিবুর রহমান (৫০), ফুটবল মার্কার মেম্বার প্রার্থী মন্নান মোল্লা (৪৫) ও ঘুড়ি মার্কার মেম্বার প্রার্থী কাওসার (৩৫) ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল ডাক্তার (৫০) ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপিন চন্দ্র (৩০)সহ ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে আলাল ফারজীকে চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল-মামুন বলেন, ‘একই স্থানে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালানোর সময় মারামারি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন প্রার্থীর পক্ষে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।