পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দন্ডপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন বিহারীর স্থলে নিরপরাধ বেনারসী কারিগর মো.আরমানের কারাভোগের জন্য দায়ী পল্লবী থানার তৎকালিন ওসি মো.নজরুল ইসলাম,পরিদর্শক দাদন ফকিরসহ দায়িত্বরত ৭ পুলিশ কর্মকর্তা। তাদেরকে চিহ্নিত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে ‘পুলিশ অব ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’র (পিবিআই)র তদন্ত প্রতিবেদনে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয় শুনানির জন্য। এ তথ্য জানান আরমানের পক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন বিহারির পরিবর্তে রাজধানীর পল্লবীর নিরপরাধ তরুণ মো. আরমানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটির দেয়া এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওই সময় দায়িত্বরত ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে। দায়ী কর্মকর্তারা হলেন, পল্লবীর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম, আরেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. দাদন ফকির, মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক এসআই (বর্তমানে পরিদর্শক) সিরাজুল ইসলাম খান, আরমানকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনাকারী টিম প্রধান সাবেক এসআই (বর্তমানে পরিদর্শক) মো. রাসেল, সাবেক এএসআই (বর্তমানে এসআই) হযরত আলী, তৎকালীন ডিউটি অফিসার সাবেক এসআই (বর্তমানে পরিদর্শক) মনিয়ারা আক্তার এবং সাবেক এএসআই (বর্তমানে অবসরে) খান ইমদাদুল হক। এসব কর্মকর্তারা আরমানকে কারাগারে পাঠানোর ক্ষেত্রে কে কি ভূমিকা পালন করেছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি এড়াতে চার দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে, (১) আসামির নামের সঙ্গে তার পিতা-মাতার নাম সঠিকভাবে লিখতে হবে। (২) আসামিকে গ্রেফতারের পর তার ছবি ধারণ করতে হবে। (৩) আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান ¯িøপের(ই/এস) সঙ্গে আসামির ছবি সংযুক্ত করতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত অনুসন্ধান ¯িøপের পরিবর্তে তদন্ত কমিটির প্রস্তাবিত ফরম ব্যবহার করতে হবে। এজন্য ওই ফরম ছাপিয়ে সকল থানায় সরবরাহ করতে হবে। এবং (৪) আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট (যদি থাকে), ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে) এবং জন্মনিবন্ধন সংযুক্ত করতে হবে।
এর আগে হাইকোর্ট গত বছর ৩১ ডিসেম্বর এক রায়ে আরমানকে বেআইনিভাবে আটকের ঘটনায় দায় নিরূপণে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পিবিআইয়ের উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: মাদক মামলায় নিরপরাধ আরমানকে কারাগারে বন্দি রাখা নিয়ে ‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’ একটি রিট করে। এই রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত। পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে আরমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখার বৈধতা নিয়ে আরমানের মা পৃথক রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আরমানকে ভুলভাবে আটক রাখা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট রাতে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি বøকের ৮ নম্বর লেনের ৭ নম্বর ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন এবং তার দুই সহযোগী সোহেল মোল্লা ও মামুন ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় দুইবছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান শাহাবুদ্দিন। বিচার শেষে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রায় দেন ঢাকার একটি আদালত। রায়ে শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদÐ দেয়া হয়। কিন্তু রায়ের দিন শাহাবুদ্দিন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি পুলিশ বেনারসি কারিগর মো. আরমানকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে কারাবন্দি আরমান। মূল আসামি শাহাবুদ্দিনের বাবার নাম ইয়াসিন ওরফে মহিউদ্দিন। আর আরমানের বাবার নামও ইয়াসিন। দুই ইয়াসিনই মৃত।
এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কমিটি গঠন
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি একটি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির আহŸায়ক হয়েছেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, যুগ্ম-আহŸায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। এছাড়াও সদস্য-গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো: আজম খান, এ.টি.ইউ. তাজ রহমান, মো: মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।