পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর কারাভোগের পর ২০১৭ সালে কারামুক্ত হন। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েই ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। জড়িয়ে পড়েন ‘গ্যাং কালচারে’। ফলে কারামুক্তির মাত্র দুই বছর পর ২০১৯ সালে অস্ত্র আইনের মামলায় আবারও এক বছর জেল হয় তার। ২০২০ সালে সালে দ্বিতীয় দফায় কারামুক্ত হন রফিকুল। তবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। চলতি বছরের ৪ জুন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে একজনের পক্ষ নিয়ে জমি দখল করতে গিয়ে ফের গুলি চালায় রফিকুল। সেই ঘটনায় তাকে আবারও পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) মিরপুর বিভাগ। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৪ জুন হাজারীবাগ থানার ৮৯ গজমহল শিকারিটোলা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে রফিকুলসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী বিরোধপূর্ণ জমিতে যায়। সেখানে দেয়াল নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে জমির মালিক মামুনকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, মামলাটি ডিবির রমনা জোনাল টিমের হাতে আসে। গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পারেন রফিকুল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ওই জমিতে যায় এবং গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর গত ২৩ জুন রাতে সাভার ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন এবং তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক জানায়, ওই ঘটনায় তারা ভাড়ায় গিয়েছিল এবং অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তার বাহিনীসহ আবুল হাশেম নামে এক ব্যক্তির ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে ওই জমিতে গিয়ে গুলি চালিয়েছে তারা। ডিবি প্রধান আরও বলেন, এর আগে একটি হত্যা মামলায় ২২ বছর কারাভোগ করে ২০১৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পায়। এরপর ২০১৯ সালে আরও একটি অস্ত্র মামলায় এক বছর জেল খেটে ২০২০ সালে বের হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সন্ত্রাসী রফিক ভালো না হয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। এবারও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এর পেছনে আরও যারা জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। আপনারা জানেন- জমি-জমা সংক্রান্ত কোথাও গোলাগুলি হলে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেখানেই অস্ত্র ব্যবহার হবে, সেখানেই আমরা কাজ করব। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এর আগে পল্লবীর ঘটনাতেও আমরা কাউকে ছাড় দেয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিশোর গ্যাং অপরাধ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিরসনে ডিএমপির গোয়েন্দা জোনাল টিম এবং থানাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মদদদাতা যদি কেউ থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।