নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সময়টাই এমন, মাঠে নামলেই যেন রেকর্ড এসে লুটিয়ে পড়ছে লিওনেল মেসির পায়ে। গতপরশু রাতে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মাঠে নেমেই ছুঁয়ে ফেলেছেন ৯৬ বছরের পুরনো এক রেকর্ড। এরপর ম্যাচে গোল করে গড়েছেন আরও এক কীর্তি, ছুঁয়েছেন আরও একটি মাইলফলক।
‘এখনই সময়’-টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন মেসি। ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর আক্ষেপ এবার ঘোচে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু মেসির রেকর্ড গড়া থেমে নেই তাতে। মঙ্গলবার ভোরে মেসি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ কোপা আমেরিকায় খেলতে নেমেছেন। তাতেই গড়া হয়ে গেছে কীর্তিটা। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ কোপা আমেরিকায় খেলার রেকর্ড ছিল ছয়বার, যে কীর্তি এতদিন শুধুই আমেরিকো তেসোরেইরেও দখলে ছিল, যাতে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। একটা দিক থেকে আমেরিকোকেও ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। আমেরিকো তার ছয়টি কোপা খেলেছিলেন ১৯২০ থেকে ১৯২৫, এই ছয় বছরে। সেখানে মেসি প্রথম ও শেষ দুই কোপা আমেরিকার মাঝখানে সময় নিয়েছেন ১৪ বছর।
মেসি ফ্রি কিক থেকে গোল পেয়েছেন চিলির বিপক্ষে এই ম্যাচে। এর ফলে আরও দুই কীর্তি এসে লুটিয়ে পড়েছে মেসির পায়ে। ফ্রি কিকে গোল করার ক্ষেত্রে প্রতিদ্ব›দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। ফ্রি কিক থেকে এখন মেসির গোলসংখ্যা ৫৭ টি, আর রোনালদোর গোলসংখ্যা ৫৬টি। মেসির এই ৫৭ ফ্রি-কিক গোলের মধ্যে ৫০টি এসেছে বার্সেলোনার জার্সিতে। বাকি ৭ গোল আর্জেন্টিনার হয়ে। মেসির ক্যারিয়ারে করা ৭৪৫ গোলের মধ্যে ৭.৬ শতাংশ এসেছে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে। এছাড়া ২০১১ সালে ফ্রি-কিকে রোনলদোর গোল যখন ৩০টি, তখন মেসির গোল মাত্র ৪টি। আর বর্তমানে তাকে টপকে গেলেন এ ফুটবল জাদুকর।
এখন তার সামনে কে আছে জানেন? তারই আদর্শ, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যে ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছেন তাতেও ‘উপস্থিত’ ছিলেন গত নভেম্বরে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয়া সর্বকালের সেরাই এই ফুটবলার। ম্যারাডোনা সরাসরি ফ্রি কিক থেকে গোল করেছেন ৬২টি। ক্যারিয়ারে ৩৫৩ গোলের মধ্যে ১৭ শতাংশই করেছেন সরাসরি ফ্রি কিক থেকে! এই কীর্তি গড়তে সময়ের সেরা তারকা সেমির লাগবে আর মাত্র ৫টি ফ্রি-কিক গোল।
রোনালদো সহসাই ছুঁয়ে ফেলতে পারেন মেসির এ কীর্তিকে। তবে আর্জেন্টাইন পরের যে কীর্তি গড়েছেন, সেটা আর হাতছাড়া হওয়া সম্ভব নয়। চিলির বিপক্ষে এই গোলে মেসির ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৪-এ, এর ফলে তিনি সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে। ছুঁয়ে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিওকে। এখন তার সামনে কেবল আছেন রোনালদো (৭৭৯), জোসেফ বিকান (৭৫৯), পেলে (৭৫৭)।
মেসির এই ম্যাচের কীর্তি এখানেই শেষ নয়। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি এখন তার দখলে, পেছনে ফেলেছেন আরেক কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এখন মেসির গোলসংখ্যা ৩৯টি, যার ছয়টি এসেছে বিশ্বকাপে, ২৩ টি প্লে অফে, আর বাকি দশটি এসেছে কোপা আমেরিকায়। প্রতিযোগিতামূলক সূচিতে ৩৮ গোল করা বাতিস্তুতা এখন চলে গেছেন দ্বিতীয় স্থানে। আর সব মিলিয়ে এখন মেসির জাতীয় দলের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ এ, আর বাতিস্তুতার গোল ৫৪টি, যা মেসি ছাড়িয়ে গেছেন সেই ২০১৬ সালেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।