Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘কাশ্মীরের জনসংখ্যাগত অবস্থা পরিবর্তনে ভারত ৩৪ লাখের বেশি জাল সনদ জারি করেছে’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ৬:০৩ পিএম

ভারত এখন অবধি ৩৪ লাখ অ-কাশ্মীরীকে কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে ভুয়া সনদপত্র জারি করেছে। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান এই তথ্য জানিয়ে বলেছে যে, নয়াদিল্লি ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী তার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন সহ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অধিকৃত অঞ্চলটির জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে তার ভারতের নীলনকশা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত ইতোমধ্যে ৩৪ লাখ জাল ডেমোসাইল সনদপত্র জারি করেছে।’ তিনি আরও বলেন যে, কাশ্মীরিরা গত ২২ মাস ধরে ‘অভূতপূর্ব সামরিক অবরোধ, যোগাযোগ অবরুদ্ধকরণ এবং মৌলিক স্বাধীনতা স্থগিত’ এর মুখোমুখি হচ্ছে। জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, ‘৫ আগস্ট, ২০১৯ সালে ভারতের অবৈধ ও একতরফা কর্মকাণ্ডের পরে কাশ্মীরি জনগণের জীবন ও জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’ তিনি সেই দিনটিকে উল্লেখ করেন যখন ভারত বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলটির বিশেষ অধিকার করে একে দুটি কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে।

মানবধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে, ভারত একই সাথে অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আটক করেছে, চলাচলের সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে এবং একটি যোগাযোগ ব্ল্যাকআউট কার্যকর করেছে। ২০০৯ সালে দু’জন কাশ্মীরি নারী আসিয়া ও নীলোফার জানকে ধর্ষন ও হত্যার বার্ষিকীতে জাহিদ হাফিজ চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘অধিষ্ঠিত অঞ্চলে কাশ্মীরি নারীদের ধর্ষণ, নির্যাতন, অবমাননাকর আচরণ ও হত্যার ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দখলকৃত অঞ্চলে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার অভাবের বিরুদ্ধে বহুসংখ্যক স্বতন্ত্র কমিশন, মানবাধিকার সংস্থা, গ্লোবাল মিডিয়া এবং সিভিল সোসাইটি সংস্থা, জাতিসংঘের হাইকমিশনার অফিস সহ বিভিন্ন ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান ২১ মে যুদ্ধবিরতি একটি স্বাগত বিকাশ হিসাবে বিবেচনা করে তবে ‘আমরা আবারও ফিলিস্তিন ইস্যুর স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করছি।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমান্তের সাথে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত প্যারামিটারের ভিত্তিতে একটি কার্যকর, স্বতন্ত্র এবং স্বচ্ছ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং আল-কুদস আল শরীফ (জেরুজালেম) এর রাজধানী হিসাবেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তের জন্য একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রেজোলিউশন...পদ্ধতিগত দায়মুক্তি ও অবিচারের অবসান ঘটাতে এবং অর্থবহ জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া শুরু করার বৈশ্বিক সংকল্পকে উপস্থাপন করে।’ সূত্র: ইয়েনি শাফাক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ