বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, কয়রা থানার দারোগা মিন্টু ও সাইফুল যে ধরনের অশালীন অভদ্র ও বেয়াদবি আচরণ করেছে তা তাঁর রাজনীতির ৪২ বছরে দেখিনি। যার ইশারা ইঙ্গিতে এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুলিশ ঘটিয়েছে তাকে প্রকাশ্যে আসার আহবান জানিয়ে পুলিশের এই আচরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল দুপুর ১২ টায় বিএনপি কাযালয়ে কয়রা উপজেলায় বিএনপির ত্রাণ বহরে হামলা, মারপিট, হুমকি গালিগালাজ, নামাজ ও আহারে বাধা ও পাইকগাছায় ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ তুলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে মঞ্জু আরো উল্লেখ করেন, শনিবার খুলনা জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় গিয়ে বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলার কালনা আমিনিয়া মাদ্রাসায় ৫৫০ মানুষের মাঝে ত্রাণ হস্তান্তর করা হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা বাঁধ পরিদর্শন করে ফিরে আসার পর কয়রা থানার পুলিশ বিএনপির নেতাকমীদের ওপর চড়াও হয়, লাঠি নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর দিকে তেড়ে আসে। এসময় পরিচয় দেওয়ার পরও তারা ত্রাণ বিতরণের লিখিত অনুমতি চায়; এসময় ডিসি সাহেবের অনুমতির কথা বললে পুলিশ কটুক্তি করে। দারোগা মিন্টু ও সাইফুল গালিগালাজ ও লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হওয়া ও আমাদের তিন গাড়ির ড্রাইভারদের গ্রেফতারের হুমকি ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে গাড়ি তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করলে তারা আরও মারমুখী হয়। জোহরের নামাজ পড়তে চাইলে তারা বাধা দেয়। আমরা ভ্যানে করে তিন কিলোমিটার পথ এসে গাড়িতে উঠে রওনা হয়ে দশ কিলোমিটারের মাথায় চাদআলী ব্রীজ পার হয়ে কমরউদ্দিন কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে পাশের মসজিদে জোহরের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি কালে পুলিশ সেখানে এসে হামলা চালায় এতে ত্রাণকর্মী শামিম আশরাফ ও মেহেদী হাসান মিলন আহত হয়। তখন পুলিশ সদস্য মিন্টু বলে নামাজ এখানে পড়া যাবে না, কথা না শুনলে থানায় যেয়ে নামাজ পড়তে হবে। বিকালে পাইকগাছায় ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচী থাকলেও পাইকগাছার পুলিশও ঢুকতে দেয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নরেখে বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, খুলনা বিএনপি উপক‚লীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি ত্রাণ কমিটি গঠন করে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোপূর্বে আমরা উপক‚লবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়নে খুলনার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও পৃথিবীর কোথাও ত্রাণ কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি করার নজির নেই। তিনি পুলিশের এমন অশালীন অভদ্র ও বেয়াদবি আচরণে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম বিনা বাধায় পরিচালনা করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মুশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, আঃ রাকিব মল্লিক, এড. মোমরেজ, সিরাজুল হক নান্নু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, জালু মিয়া, ইকবাল হোসেন খোকন, মেহেদী হাসান দিপু, একরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শাহনাজ পারভিন, গোলাম কিবরিয়া, শরিফুল ইসলাম বাবু, আবু সাঈদ শেখ, ম শ আলম, নাজির উদ্দিন নান্নু, খন্দকার ফারুক হোসেন, চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক, আফসার মাষ্টার, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, আঃ আলিম, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, রেহানা আক্তার, মোহাম্মাদ আলী, জামাল উদ্দিন মোড়ল, জাকির হোসেন, তানভীরুল আজম রুম্মান, রাহাত আলী লাচ্চু, শামসুল বারি পান্না, শামীম আশরাফ, শরিফুল ইসলাম, আল আমিন প্রিন্স, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, সেলিম বড়মিয়া, হেদায়েত হোসেন হিদু, জসিম উদ্দিন, বায়জিদ হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।