বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বানিয়াপাড়া খালের ওপর স্থাপিত ব্রিজটি নির্মাণের ২ বছর যেতে না যেতেই বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তারপর দীর্ঘ ৯ বছরেও সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ওই পথে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার জনসাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এম এ ওয়াহেদ, হাসলিবাতিয়া গ্রামের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শেরপুর জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম তোতাসহ গ্রামবাসী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে আলবেরুনী কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণে স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগশাজসে ঠিকাদার অত্যন্ত নিন্মমানের ও প্রয়োজনের তুলনায় কম নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ব্রিজটি ২ বছর যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ে। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলেও সেখানে আর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ জেলা সদর শেরপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়েই ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা বিধ্বস্ত সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করছে। এতে মাঝে মধ্যেই ওই সাঁকোতে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এলাকাবাসী জানান-সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী ১৫/২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভেগের অন্ত নেই। তাছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং গবাদি পশু পারাপারেও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন-সেতুটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত করে রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত এখানে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।