মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কয়েক মাস স্তিমিত থাকার পর ফের চাঙ্গা হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। ভারতজুড়ে ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। আগামী ২৬ জুন সব গভর্নর ভবনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিজেপি সরকার ভারতের কৃষি খাত সংস্কারে তিনটি কৃষি আইন করে। সংসদে আইনগুলো পাস করার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, নতুন আইনের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার থেকে কৃষকরা মুক্তি পাবেন। তবে কৃষকদের দাবি, আইনগুলো তাদের মুক্তির জন্য নয়। এর ফলে তারা আরও বেশি করপোরেট দাসে পরিণত হবেন। কৃষি ধ্বংস করে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভবান করাই আইনের উদ্দেশ্য। এরপর বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন কৃষকরা। বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এ আন্দোলনে রাজধানী দিল্লিতে অচলাবস্থা নেমে আসে। হাজার হাজার কৃষক তাদের ট্রাক্টর, লাঙলসহ বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম এনে উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রদেশে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেন।
সরকার দফায় দফায় আলোচনা করেও কৃষকদের থামাতে পারেনি। সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে। তবে আন্দোলন চলার মধ্যেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিলে আন্দোলনে ভাটা পড়ে। আর সেটিই এখন চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন আয়োজকরা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমর্থন পেতে গত বুধবার নবান্নে তার সঙ্গে দেখা করেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত। এরপরই গত শুক্রবার কৃষকদের ৪০টি সংগঠনের জোট ‘সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা’ ২৬ জুন দেশজুড়ে গভর্নর ভবনে নতুন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
দীর্ঘ সাত মাস ধরে রাজধানী দিল্লি সীমানায় চলা কৃষক আন্দোলনের নেতারা ওইদিন গভর্নর ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়ে কালো পতাকা প্রদর্শন করবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি দেবেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে সিকিম কর্নাটিকারি মঞ্চের সাবেক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং জানান, ২৬ জুন তারা ‘ক্ষেত বাঁচাও, লোকতন্ত্র বাঁচাও’ (কৃষক বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও) দিবস পালন করবেন। আগামী ২৬ জুন কৃষক আন্দোলনের সাত মাস পূর্ণ হবে। ওইদিন সারা দেশের রাজভবনকে (গভর্নর হাউস) কালো পতাকা দেখানো হবে বলে জানান তিনি। ভারতের গভর্নর ভবনগুলো রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে। এজন্য গভর্নর ভবনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেবেন কৃষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষক আন্দোলনের শুরুতে সরকার আলোচনায় আগ্রহ দেখায় এবং নানা প্রস্তাব দেয়। তবে প্রস্তাবে সম্মতি না দেখানোয় শক্ত অবস্থানে যায় সরকার। এক পর্যায়ে আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। আইনগুলো নিয়ে সরকার এখনো আগের অবস্থানেই রয়েছে। ফলে নতুন করে এ আন্দোলন কতটা চাঙ্গা হয়, তার ওপর নির্ভর করবে কৃষকদের দাবি পূরণ। সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।