পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ বাজেট উন্নয়ন ও জনবান্ধব বলে অভিহিত করেছে সরকারি দল। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এটা জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর বাজেট। বিরোধী দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বলেছে, এ বাজেট করোনা সংকট মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হবে, ঋণনির্ভর বাজেট, ভাঁওতাবাজির বাজেট, বাস্তবায়নের অযোগ্য বাজেট ইত্যাদি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটের টাইটেলে বলা হয়েছে, জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর বাজেট। কিন্তু বাজেট কাঠামোতে তা প্রতিফলিত হয়নি। ড. দেবপ্রিয় বলেছেন, গতানুগতিক বাজেট। বাজেটে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। তথ্য-উপাত্তে অনেক গড়মিল আছে। আইসিএবি বলেছে, সরকারি খাতের অপচয় দূর করতে ‘ব্যয় কমিশন’ গঠন করা জরুরি। টিআইবি বলেছে, বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি রোধে সুনির্দিষ্ট পথরেখা থাকা দরকার। বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিমত হচ্ছে, এটা ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট। কিন্তু বাজেটে কর ছাড়ের সুবিধা মানুষ পায় না। কর বৃদ্ধির খেসারত গুনতে থাকে সাথে সাথেই। সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বেড়ে যায় অনেক। বাজেট ছাড়াও পণ্যের মূল্য বাড়ে প্রায় সময়ই। ফলে আমাদের চরম কষ্ট হয়। তবুও এর কোনো প্রতিকার নেই। তাই বাজেট নিয়ে ভেবে আমাদের লাভ কী? বাজেট নিয়ে সংসদেও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এক এমপি বলেছেন, বড় চোরদের দুর্নীতি, অর্থ পাচারের কারণে ঘৃণা ও লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। এসব বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা না বাড়ালে, দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে বাজেটের লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না। এসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হয়তোবা কিছু এদিক-ওদিক করে নতুন বাজেট পাস হবে। অতঃপর ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
করোনার ভয়াবহ ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য বহু দেশ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জাতীয় বাজেটে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেট নেই। তাই এটা গতানুগতিক বাজেট বললে অত্যুক্তি হবে না। এ বাজেটকে ব্যবসায়ীবান্ধব বলা হয়েছে। হ্যাঁ, এটাই হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, বর্তমানে এমপি ও মন্ত্রীদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী। তাই বাজেট তো তাদের পক্ষেরই হবে। বাজেটে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হবে কি-না তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু বছরে ২০ লক্ষাধিক মানুষ শ্রম বাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। ফলে বেকারত্ব আরও বেড়ে ভয়াবহ হবে। তাই সরকারি সব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও বেকার ভাতা চালু করা জরুরী। বৈশ্বিক মহামন্দার কারণে বাজেটে বিনিয়োগের টার্গেট পূরণ হবে কি-না তা নিশ্চিত নয়। বাজেটে দেখানো হয়েছে, দেশবাসীর মাথাপিছু গড় বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৩৩৩ টাকা। আর মাথাপিছু গড় ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৭৭০ টাকা। তবুও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এখন ঋণ নিব না, ঋণ দেব। ভালো কথা। কিন্তু তার আগে সরকারের যেসব ঋণ রয়েছে, তা পরিশোধ করা এবং নতুন ঋণ নেওয়া বন্ধ করা দরকার। করোনা মহামারিতে শিক্ষার সর্বনাশ হয়েছে। তবুও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর ১৫% কর আরোপ করা হয়েছে, যাতে উচ্চ শিক্ষার ক্ষতি হবে। সামাজিক সুরক্ষার সাথে সরকারি জনবলের পেনশন যুক্ত করা হয়েছে। এটা কী করে হয়? সামাজিক সুরক্ষা হচ্ছে, সরকারি অনুদান, আর পেনশন হচ্ছে, সরকারি চাকরিজীবীদের অধিকার, চাকরির শর্ত। দ্বিতীয়ত সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে অসচ্ছল ব্যক্তির চেয়ে সচ্ছল ব্যক্তিই বেশি রয়েছে এবং দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতিও ব্যাপক বলে অভিযোগ রয়েছে। উপরন্তু করোনা সৃষ্ট দরিদ্রদের এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে বিশেষ কোন সুবিধা দেয়া হয়নি। প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঋণ তারা পায়নি তেমন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সুবিধা দেয়া না হলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।
বাজেট বাস্তবায়নের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, টার্গেট মতো রাজস্ব আদায় ও এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে। বাজেট বাস্তবায়নের প্রারম্ভেই রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে জোর তৎপরতা চালানো হয়। তাতে সফলতা আসে না। তাই বিভিন্ন পণ্যের উপর কর আরোপ করা হয়। সরকারের ঋণ বেড়ে যায়। সরকারি ব্যয় ও এডিপি কমানো হয়। কমানোর পরও এডিপি যা থাকে, তাও বাস্তবায়িত হয় না শতভাগ। সে সক্ষমতা নেই আমলাদের। বেতন-ভাতাদি ব্যাপক বাড়ানোর পরও আমলাদের সেবার মান বাড়েনি। দুর্নীতি-অপচয়ও কমেনি। অবশ্য এ জন্য সময় মতো অর্থ ছাড় না করা এবং নানা প্রতিবন্ধকতাও দায়ী। অন্যদিকে, এডিপির বিরাট অংশ হয় অপ্রয়োজনীয়। আর যেটুকু বাস্তবায়িত হয়, তার বেশিরভাগই হয় মানহীন। এই হচ্ছে আমাদের জাতীয় বাজেটের ইতিহাস। জবাবদিহিতা ও সুশাসন না থাকায় এটা হচ্ছে। এ জন্য দায়ী এমপি ও মন্ত্রীরা। প্রস্তাবিত বাজেটের ক্ষেত্রেও এসবই হবে। কিন্তু না, এ অবস্থা চলতে দেয়া অনুচিত। এটা দেশের উন্নতির চরম অন্তরায়। তাই সংসদে যে বাজেট পাস হবে, তার শতভাগই বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন করার জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই হবে। এটা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্যও দরকার। নতুবা স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। রাজস্ব আদায়ের অতীত ভালো নয়। জিডিপির তুলনায় কর আহরণে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম (প্রায় ১০%)। আর বৈশ্বিক সূচকেও তলানিতে! এর প্রধান কারণ, এ দেশের মানুষের মধ্যে কর প্রদানের অনীহা প্রবল। আদায়ের সক্ষমতাও কম। কারণ, জনবলের ঘাটতি, অদক্ষতা, দুর্নীতি, হয়রানি, প্রযুক্তির ব্যবহার না করা ইত্যাদি। মামলার কারণেও হাজার হাজার কোটি টাকার কর আদায় বন্ধ থাকে দীর্ঘদিন।
ভ্যাট আদায়ের আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে ইলেকট্রনিক ফিসকল ডিভাইস-ইএফডি। এটা দেশে প্রবর্তন করার জন্য নতুন ভ্যাট আইন করা হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। প্রথমে এটার ১১ ডিজিটের করা হয়েছিল। কিন্তু রাজস্ব অফিসের ডিজিট ১৩। ফলে সমন্বয় হয়নি। তাই ১১ ডিজিট বাদ দিয়ে পুনরায় ১৩ ডিজিট করা হয়েছে কিছুদিন আগে। নতুন ভ্যাট আইনের প্রধান দিক হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রির রশিদ দেবে ক্রেতাদের। তাতে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ উল্লেখ থাকবে। মাসিক আদায়কৃত ভ্যাট পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রাজস্ব অফিসে জমা দিতে হবে। এটা না করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ক্রেতাদের রশিদ দেয় না। আদায়কৃত ভ্যাট সরকারের কাছে জমা দেয় না। উপরন্তু নতুন নিয়মে ভ্যাট নিবন্ধনও করেনি। স¤প্রতি রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দা শাখার লোকেরা জরিপ করে এসবের প্রমাণ পেয়েছে, যার অন্যতম হচ্ছে, ৮৮% ব্যবসায়ী ভ্যাট নিবন্ধন করেনি। অবশ্য সব ব্যবসায়ীকে ইএফডি মেশিন দেওয়া হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি। কিছুদিন আগে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সামান্য কিছু ইএফডি মেশিন আছে, সেটা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দেয়া হবে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাব মতে, দেশে ৫৬ লাখ ক্ষুদ্র দোকানদার রয়েছে। এছাড়া, বড় দোকানদারও রয়েছে কয়েক লাখ। এসব দোকানীর দৈনিক বিক্রির পরিমাণ ব্যাপক। তাই ভ্যাট আদায়ের পরিমাণও বিপুল, যা ঠিক মতো সরকারের খাতে জমা হলে বছরে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক বেশি হবে। তাই ভ্যাট শতভাগ আদায় করতেই হবে। তার আগে সব ব্যবসায়ীকে ইএফডি মেশিন সরবরাহ, সব ক্রেতাকে বিক্রয় রশিদ প্রদান ও আদায়কৃত ভ্যাট যথাসময়ে সরকারের কাছে জমা দানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এসব যাচাই সহজতর করার জন্য নতুন ভ্যাট নিবন্ধনের ফটোকপি প্রতিটি দোকানের প্রকাশ্য স্থানে টাংগিয়ে রাখার নির্দেশ দিতে হবে। এসব বিধান পালিত হচ্ছে কি-না তা নিয়মিত যাচাই করতে হবে। তাতে কোন ত্রুটি প্রমাণিত হলে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেটা হবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে কারাদন্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। অপরদিকে, ব্যবসায়ীদের উচিৎ সব ক্রেতাকে বিক্রয় রশিদ প্রদান ও আদায়কৃত ভ্যাট যথানিয়মে সরকারি অফিসে জমা দেয়া। কারণ, এটা তাদের অর্থ নয়, ক্রেতার নিকট থেকে গৃহীত অর্থ। ক্রেতাদেরও উচিৎ প্রতিটি পণ্য ক্রয়ের রশিদ গ্রহণ করা। অপরদিকে, শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা, হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসবও বন্ধ করা জরুরি। শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ানো হবে, আদায়ও তত সহজতর হবে, দুর্নীতি-হয়রানিও কমে যাবে।
দেশে আয়কর দেয়ার মতো বহু মানুষ রয়েছে। উপরন্তু করোনাকালে জীবন ও জীবিকা স্থবির হয়ে পড়েছে। তবুও দেশে কয়েক হাজার কোটিপতি বেড়েছে। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলে জোতদার রয়েছে অনেক, যারা করযোগ্য। দেশের করযোগ্য বেশিরভাগ মানুষ কর দেয় না। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম কিছু দিন আগে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইটিআইএনধারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু গত জানুয়ারি পর্যন্ত ইটিআইএনধারীর সংখ্যা মাত্র ৫৪ লাখ। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩৫৭ জন করদাতা চলতি করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি ইটিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেয়নি।’ কর মেলা ও রিটার্ন জমা অনলাইনের মাধ্যমে করার পরও এই অবস্থা চলছে, যা চলতে দেয়া উচিৎ নয়। তাই করযোগ্য সব মানুষের আয়কর আদায় করার জন্য কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এর অন্যতম হচ্ছে, প্রত্যেক বাড়ি ও ফ্লাটের প্রকাশ্য স্থানে হালনাগাদ রিটার্ন দাখিলের তথ্যের ফটোকপি টাংগিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্তকালে সেটা পাওয়া না গেলে, সঠিকভাবে কর প্রদান না করলে ও করযোগ্য হওয়ার পরও টিনধারী না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কারাদন্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই করযোগ্য সব মানুষ কর দিতে বাধ্য হবে। আয়কর আদায় বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। রাজস্ব আদায়ের বড় অন্তরায় হচ্ছে, মামলা। বর্তমানে ৩২ হাজার মামলা বিচারাধীন আছে, যার আর্থিক পরিমাণ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এই মামলার অনেকগুলো দীর্ঘ দিনের। মতলবি লোকেরা একের পর এক মামলার তারিখ নিয়ে মামলা ঝুলিয়ে রেখেছে। ফলে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এতে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং আপিলের ক্ষেত্রেও দ্রুত নিষ্পত্তির বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। মামলায় বাদী পরাজিত হলে তার নিকট থেকে এককালীন সব টাকা আদায়সহ মামলার ব্যয়ও আদায় করতে হবে। তাহলে মতলববাজরা মামলা করার সাহস পাবে না।
বর্ণিত বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে দেশে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটবে। ফলে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক বেশি আদায় হবে। বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন হবে। উপরন্তু প্রতি বছর রাজস্ব আয় বাড়তে বাড়তে কর জিডিপির হার ধনী দেশের সমান হবে। দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নতির পথে ধাবিত হওয়া সম্ভবপর হবে। অবশ্য বর্ণিত কর্মগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য রাজস্ব বিভাগকে উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করতে হবে, রাজস্ব বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করতে হবে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সকলের দক্ষতা বাড়াতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার পর্যাপ্ত করতে হবে এবং দুর্নীতি, হয়রানি, গাফিলতি বন্ধ করতে হবে। অপরদিকে, এডিপি ও বিভিন্ন বরাদ্দ গ্রহণ করতে হবে প্রয়োজন অনুসারে। অনুৎপাদনশীল প্রকল্প ও ব্যয় বন্ধ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থে ও মানে সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য নিদিষ্ট সময়ে অর্থ ছাড় ও সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে। এসবের পরও যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন/বরাদ্দ ব্যয়ে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে না পারা, প্রকল্পের মেয়াদ ও অর্থ বৃদ্ধি করার এবং নিম্নমানের কাজের সংস্কৃতি বন্ধ হবে। দেশের ব্যাপক কল্যাণ হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।