নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকা আয়োজনে আর কোনো বাধা রইল না। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায় এসেছে কোপা আয়োজনের পক্ষে। করোনা মহামারির এই সময়ে কোপা আমেরিকা আয়োজনে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমন অভিযোগ আনা হয়েছিল টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে।
ৎগণমাধ্যমে প্রধান বিচারপতি লুইস ফাক্স জানান তিনি অনলাইনে ১১ সদস্যের আদালত বসিয়ে বিষয়টির শুনানি অনুষ্ঠিত করেন। এ বিষয় আদালতে উপস্থাপন করেছে ব্রাজিলের জাতীয় মেটালওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, কংগ্রেসের বিরোধীদলীয় সদস্য হুলিও দেলগাদো আর তার দল ব্রাজিলিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএসবি)। ইউনিয়ন বলেইছিল, কোপা আমেরিকা আয়োজনে ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।’
তবে ১১ জন বিচারকের বেশিরভাগই এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাধা দেখছেন না। তবে ব্রাজিল সরকারকে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারকরা।
গেল বছর আয়োজনের কথা থাকলেও কোপা আমেরিকা এবার আয়োজিত হচ্ছে, কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তো গেল বছর জুলাই পর্যন্ত ফুটবলই চলে গিয়েছিল নির্বাসনে! এবার যখন ‘নতুন স্বাভাবিকতায়’ যখনই মাঠে গড়াতে যাবে, অন্যতম আয়োজক কলম্বিয়ায় লেগে গেল রাজনৈতিক দাঙ্গা আর আর্জেন্টিনায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ। যে কারণে শেষ মুহ‚র্তে আয়োজনের দায়ভার দেওয়া হয় ব্রাজিলকে।
সেই ব্রাজিল, যাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখের কাছাকাছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কেবল এখানেই করোনায় এতো মৃত্যুর নজির দেখা গেছে। আর সেখানেই কোপা আমেরিকা আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়।
তাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। জনমনে তো ছিলই। যে কারণে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। দুই পৃষ্ঠপোষকও টুর্নামেন্টের ঠিক আগে সরে যায় পৃষ্ঠপোষকতার পদ থেকে। তবে খেলোয়াড়রা অসন্তুষ্ট হলেও শেষতক মাঠে নামার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছেন, গতকাল দলটির স্কোয়াডও ঘোষিত হয় কোপা আমেরিকার জন্য।
এরপরই এল সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত। দেশটির রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনেরো ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তার দেশ উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে।
তবে করোনা মহামারির সময়ে যে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনেই থাকে বাড়তি সতর্কতা। কোপা আমেরিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। দর্শক থাকবে না মাঠে। নূন্যতম ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে হবে টুর্নামেন্টের বাকি সব কাজও। আর প্রতি দুই দিনে একবার করে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করবে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। আয়োজক চার শহরে দলগুলো সফর করবে ভাড়া করা বিশেষ বিমানে।
এত কিছুর পরেও টুর্নামেন্ট আয়োজনকে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন দেশটির মহামারি বিশেষজ্ঞরা। দেশটির এপিডেমিওলজিস্ট জোসে ডেভিড আরবায়েজ জানিয়েছেন, ‘এ পরিস্থিতির ভেতরে এই টুর্নামেন্টটা আয়োজন করা পাগলামিরই নামান্তর। এটা এখন বলে বোঝানো প্রায় অসম্ভব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।