মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি নিলামে এক কোটি ৮৮ লাখ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ২০ ডলার মূল্যের একটি স্বর্ণমুদ্রা। ১৯৩৩ সালে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট যখন আমেরিকাকে গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে বের করে নিয়ে যান, তারপর থেকে এই কয়েন আর কখনওই ইস্যু করা হয়নি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের সুথিবি’স নিলামে স্বর্ণমুদ্রাটি বিক্রি হয়। এটিই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কয়েন। -এএফপি
এর আগে ২০১৩ সালে ১৭৯৪ সালের একটি রুপার মুদ্রা বিক্রি হয় এক কোটি ডলারে। ২০ ডলারের স্বর্ণমুদ্রাটির নকশা করেন আমেরিকান স্থপতি অগাস্টাস সেইন্ট গউডেনস। সুথিবি’স নিলাম কর্তৃপক্ষ এটি সম্পর্কে বলেছে, বাজারে সার্কুলেশনের উদ্দেশে তৈরি করা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ কয়েন হওয়ায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মুদ্রাগুলোর একটি। তাদের ধারণা ছিলো এটি এক থেকে দেড় কোটি ডলারে বিক্রি হবে। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে দামী মুদ্রা হিসেবে বিক্রি হওয়া কয়েনটির একপাশে লেডি লিবার্টির ছবি আর অন্যপাশে আমেরিকান ঈগলের ছবি রয়েছে। ডাবল ঈগল নামে পরিচিত মুদ্রাটি ১৯৩৩ সালে সার্কুলেশনের জন্য তৈরি করা হলেও এটি কখনওই বৈধভাবে ব্যবহারের অনুমোদন পায়নি।
ওই বছর মহামন্দার কবল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি রক্ষা করার উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনকে দেওয়া দুইটি ছাড়া বাকি সব কয়েন ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ১৯৩৭ সালের দিকে বাজারে কয়েকটি মুদ্রা দেখা যাওয়ায় এনিয়ে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ওই তদন্তের মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে এসব কয়েন মার্কিন সরকারের কাছ থেকে চুরি করা হয়েছে আর এগুলো নিজের কাছে রাখা অবৈধ।
সুথিবি’স নিলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এগুলোর মধ্যে একটি কয়েন কিনে নেওয়া হয় আর ভুলক্রমে রফতানি লাইসেন্স পেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কয়েনটির স্থান হয় মিসরের রাজা ফারুকের মুদ্রা সংগ্রহশালায়। ১৯৫৪ সালে সুথিবি’স মুদ্রাটি নিলামে ওঠানোর চেষ্টা করলে মার্কিন রাজস্ব বিভাগ এটি প্রত্যাহার করে নিতে সক্ষম হয়।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কয়েনটির অবস্থান ছিলো অজানা। ওই সময় নিউ ইয়র্কের একটি হোটেল থেকে কয়েনটি জব্দ করে গোয়েন্দা সংস্থা। পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে সিদ্ধান্ত হয় কয়েনটি বেসরকারি মালিকানায় যেতে পারবে। এটি ছাড়া অন্য যেসব ডবল ঈগল কয়েন দেখা গেছে, সেগুলো মার্কিন সরকারের সম্পত্তি বলে গণ্য হবে বলেও সিদ্ধান্ত আসে। সেই কারণে মঙ্গলবার বিক্রি হওয়া ১৯৩৩ সালের ডবল ঈগল কয়েনটি বৈধভাবে বিক্রি হতে পারা একমাত্র কয়েন। ২০০২ সালেও কয়েনটি ওই সময়ের রেকর্ড গড়া দাম ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারে ডিজাইনার স্টুয়ার্ট ওয়েটজম্যান কিনে নেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।