Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হচ্ছে তালতলীর সাধারণ মানুষ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ৫:৫৮ পিএম

বরগুনার তালতলীতে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জেলে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী কাউকে বাদ যাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। প্রতারক চক্র জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাজধানীতে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট ব্যবসা।

তালতলী উপজেলার দক্ষিণ সওদাগার পাড়া গ্রামে সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, প্রতারক চক্রের প্রধান নুরুজ্জামান মুন্সি ও তার পরিবারের প্রতারণার বিভিন্ন তথ্য। দক্ষিণ সওদাগার পাড়া গ্রামে জেলে আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, নুরুজ্জামান মুন্সি নিজেকে এলাকায় এসআর গ্রুপ নামে একটির কোম্পানীর প্রতিনিধি দাবী করে তার নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নিয়েছেন। জমি দেবার কথা বলে এই টাকার বিপরীতে স্বাক্ষর করে অগ্রণী ব্যাংক তালতলী শাখায় হিসাব নম্বরে একটি চেক দিয়েছেন। এভাবে আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চেক দিয়ে প্রতারণা করেছেন। প্রতারক নুরুজ্জামানের বাবা ছগির মুন্সি একজন কুখ্যাত ডাকাত ও খুনি । বর্তমানেও একটি হত্যা মামলায় প্রধান আসামী। নুরুজ্জামান তার ভাই নুর হোসেন, নুর সাইদ ও চাচাত মোস্তফা কামালকে নিয়ে প্রতারণার অর্থ দিয়ে ঢাকাতে গড়ে তুলেছেন ছাপাখানা।

দক্ষিণ সওদাগার পাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউছুফ আলী অভিযোগ করেন, নুরুজ্জামান একটি সিগারেট কোম্পানীর কথা বলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভিখারি আফজাল (৫৫) বলেন, আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই ভিক্ষা করে ৫০ হাজার টাকা জমা করি।আমাদের প্রলোভন দেখিয়ে নুরুজ্জামান মুনফা দেবার কথা বলে ঐ টাকা নিয়ে যায়। নুরুজ্জামান এসময় একটি চেক আমার স্ত্রীর হাতে দিয়ে যায়। এখন সে আমার মোবাইল ধরছে না।দক্ষিণ সওদাগার পাড়া গ্রামের একই অভিযোগ করেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খলিলুর রহমান, গৃহিনী হেলেনা বেগমসহ বেশ কয়েক জন। এভাবে সকলকে ব্যাংকের চেক দিয়ে লভ্যাংশ দেবার লোভ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নুরুজ্জামান ও তার ভাইরা ছাপাখানাও প্রকাশনার ব্যবসা করছেন।

এব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, মন্টু নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ৯০ হাজার টাকা নুরুজ্জামান প্রতারণা করে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা মন্টুর টাকা আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছি। আরো অনেকে নুরুজ্জামানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জেনেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ