নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফিরতি লেগের ম্যাচে ভারতীয়দের শেষ ১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ। সময়ের হিসেবে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পর ভারত হারালো বাংলাদেশকে। কাতারের দোহায় মর্যাদার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ভারত নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিলেও প্রশ্ন একটা রয়েই যায়। বর্তমানে ফুটবলে ভারত কী এমন কোনো শক্তি যারা বাংলাদেশকে এভাবে হারিয়ে দিতে পারে? গত পরশু রাতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খেয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। তাদের মতো বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কিছু প্রশ্ন আছে যার উত্তর তিনি খুঁজছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে মাঠে জামালের চোখে যে ভুল ও দুর্বলতাগুলো চোখে পড়েছে তার কারণ তিনি নিজেও জানেন না। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লাল-সবুজরা। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে যেন অন্য এক বাংলাদেশ দলকে দেখলো ফুটবলবিশ্ব। এ প্রসঙ্গে গতকাল জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনেক ভালো খেলেছিলাম। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। ভারতের বিপক্ষে আমরা বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। এটা নিয়ে আলাপ করতে হবে- কেন আমরা বল পজেশন ধরে রাখতে পারিনি। আর মিস পাস বেশি হয়েছে এবং সামনের ম্যাচে আমাদের কি করতে হবে।’
ম্যাচে কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ ছিল না। প্রথম ১০ মিনিটে গোছালো ফুটবল খেলার পাশাপাশি একটি আক্রমণও ছিল। এই ম্যাচে আসলে কী উদ্দেশ্য ছিল জামালদের? এ নিয়ে অধিনায়কের কথা, ‘আমরা অবশ্যই জিততে চেয়েছি। প্রথম ১০ মিনিট ভালোও ছিল। কিন্তু এরপর আমরা বেশি নিচে নেমেছি, বেশি ডিফেন্স করেছি। ভারতের বিপক্ষে আমি মনে করি, এনার্জি কমে গিয়েছিল। ফ্রেসলেগ ছিল না।’
ম্যাচে সবচেয়ে হতাশার ছিল বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকা। বল পেয়েও ভারতের খেলোয়াড়দের কাছে তা জমা দেওয়া। ভালো খেলতেই হবে, ম্যাচ জিততেই হবে-এমন কোনো চাপ ছিল কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে জামালের জবাব,‘অবশ্যই আমরা জিততে চেয়েছি। কারণ, এটা একটা মর্যাদার ম্যাচ। সাউথ এশিয়ান এল ক্লাসিকো। সবাই জিততে চেয়েছে। কিন্তু আমরা তো বল রাখতে পারি না। এটা তো মেইনলি ডিসকাস করেছি। সবাই আমরা আলোচনা করেছি বিষয়টি নিয়ে।’ তিনি যোগ করেন,‘আমরা কেন বল রাখতে পারি না? বল পজেশনে আরো ইমপ্রæভ করতে হবে। মিস পাসও বেশি করেছি। আমাদের পাসিংয়েও আরো ভালো করতে হবে। এ বিষয়গুলোই আমরা বেশি পর্যালোচনা করেছি। আমরা কেন শেষ ১২ মিনিট এত নিচে চলে গেছি? এখন আমাদের সামনে ম্যাচ আছে ওমানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ভালো করতে হবে।’
এদিকে, ভারতের বিপক্ষে দলটির মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ, এমন মন্তব্য করেছেন লাল-সবুজের ব্রিটিশ প্রধান কোচ জেমি ডে।
২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর কলকাতার সল্টলেকে এই ভারতই প্রথম লেগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারতে হারতে ড্র করে মান বাঁচিয়েছিল। ফিরতি লেগে ভারতীয়দের বিপক্ষে শুধু হারই নয়, ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেননি জামাল ভুঁইয়ারা। দলের এমন হারের পর বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেন, ‘আমরা আসলে হেরেছি ভারতের খেলোয়াড়দের কাছে। ভারতীয় দলে অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছেন। যারা ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে সক্ষম।’
জেমির কথাই সত্যি। বিশেষ করে ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এই ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। সেই ভারতের বিপক্ষে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ২-০ গোলের হার অনেকটাই বেমানান। এ প্রসঙ্গে জেমি বলেন, ‘আগের লেগের ম্যাচের পাঁচজন ফুটবলার এই ম্যাচে নেই। এতে আমার দলের মানের অনেক তারতম্য হয়েছে।’
সাদ উদ্দিন, রায়হান হাসান, ইয়াসিন খান, রানা ও সোহেল রানা ফিরতি লেগের ম্যাচে ছিলেন না। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি সত্তে¡ও জেমি ডে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের আশা দিয়েই যাচ্ছিলেন। কাতারে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেমি পাঁচ ফুটবলার পরিবর্তন করে ইতিবাচক ফলও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সুমন রেজা ও মেহেদী হাসান রয়েলকে নামিয়ে তিনি অনেকের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে ঘরোয়া পর্যায়ে ভালো করা ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতকে না খেলানোয়। তবে পরশুর ম্যাচে পরিবর্তন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল বলে মনে করেন জেমি ডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।