বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটলেও ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার অতিক্রম করেছে। এখনো প্রতিদিন গড়ে ২শ ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন। জুন মাসের প্রথম ৮ দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৭ জন। আর মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ হাজার। এ সময়ে মারা গেছেন ১০ জন।
তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এ ভর করে বৃষ্টি ছাড়াও এমাসের শুরু থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুতে ভর করে দক্ষিনাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি নদ-নদী ও খালের দুষিত পানি পরিশুদ্ধ হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগন। ফলে ইতোপূর্বে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজর থেকে এখন ২শর ঘরে নেমেছে।
তবে সরকারী হিসেবে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া অক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ২৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আক্রান্তের হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্বীপজেলা ভোলা। এজেলায় সরকারী হিসেবেই ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ৯৬৯জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২জন। এর পরের অবস্থান পটুয়াখালীর। এ জেলায় আক্রান্ত ১২ হাজার ৮৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মৃতের এ সংখ্যাটা দক্ষিণাঞ্চলে সর্বাধীক। বরগুনাতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৯ হাজার ১১০ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৮৭। মৃত্যু হয়েছে একজনের। বরিশালে ৮ হাজার ২০৪ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন। আর ৪ উপজেলার ঝালকাঠীতে সরকারী হিসেবে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২৪৪। কোন মৃত্যু সংবাদ নেই।
গত কয়েক মাসের বৃষ্টিবিহীন অব্যাহত তাপ প্রবাহের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে উজানের প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় সাগরের লবনাক্ত পানি উঠে আসায় হাজার হাজার মনুষ ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন। করোনা মহামারির মধ্যে ডায়রিয়ার এ বাড়াবাড়ি দক্ষিণাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য যেমনি হুমকির মুখে পরে, তেমনি স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য চরম বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। তবে পুরো বিষয়টি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ প্রশাসন মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আইভি ফ্লুইড সহ চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবারহ নিশ্চিত করায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভাল ছিল বলে দবী করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে প্রথম দিকে ব্যাপক রোগী সমাগমে হাসপাতালগুলোর সার্বিক কার্যক্রম অনেকটাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালেও ৪ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭০ জন রোগীকেও চিকিৎসা দিতে হয়েছে। ফলে খোলা মাঠে তাবু খাটিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
তবে সে পরিস্থিতি উত্তরন সম্ভব হয়েছে। মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলার পাশাপাশি চিকিৎসাা সহজলভ্য হওয়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার সাহা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে আইভি স্যালাইনের মজুদ ছিল প্রায় ১ লাখ ব্যাগ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের এ্যন্টিবায়োটিক ক্যপসুল সহ অন্যান্য চিকিৎসা উপকরনের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে দাবী স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।