বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা মহামারির মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতিও জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ বৃদ্ধি করে চলেছে। রোববার দুপুরের পূর্ববর্তি ৪ দিনে দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো প্রায় ১ হাজার ৮শ ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীপুরুষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এমনকি গত ১৫ মাসে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশী হলেও মাত্র ৪ মাসেই এ অঞ্চলে প্রায় ৫৩ হাজার ৫শ মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। তবে করোনা সংক্রমনে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় পৌনে ৩শ। গত ৪ দিনের মধ্যে রোববাার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায়ই সর্বাধীক, ৫৬৮ জনের ডয়রিয়ায় আক্রান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত মাসের তুলনায় পারিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটলেও করোনার সাথে ডায়রিয়ার বিস্তৃতি এখনো আশাব্যঞ্জকভাবে রোধ করা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে এ নিয়ে গত এক সপ্তহে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করল। এসময়ে মারা গেছেন ৪ জন। এখনো দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় সব সরকারী হাসপাতাল ডায়রিয়া রোগীতে ঠাশা।
গত ফেব্রুয়রীর শুরু থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে ডায়রিয়া সংক্রমন শুরু হলেও মার্চ থেকে পরিস্থিতির যথেষ্ঠ অবনতি ঘটতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারীর শুরু থেকে ১৬ মে পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার অতিক্রম করেছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, গত এক মাসেই দক্ষিণাঞ্চলে ২৮ হাজার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জন মারা গেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলে এখনো সর্বাধীক ডায়রিয়া আক্রান্ত দ্বীপজেলা ভোলা। সরকারী হিসেবেই জেলাটিতে ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্তের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে প্রায় ১১ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাগরপাড়ের ববরগুনাতেও ইতোমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের ।
বরিশাল মহানগরী সহ জেলায় ৭ সহশ্রাধীক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্তের ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। মহানগরীর জেনারেল হাসপাতালটির ৪ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিনই গড়ে ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন থাকছে। খোলা মাঠে তাবু খাটিয়ে অস্থায়ী ওয়ার্ড তৈরী করে তার নিচে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষের চিকিৎসা চলছে।
পিরোজপুরে ইতোমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের কাছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতেও আক্রান্তের সংখ্যা সরকারী হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় ৬ হাজারের কাছে। তবে পিরোজপুর ও ঝালকাাঠীতে এখনো কোন ডায়রিয়া আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।