মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বঙ্গজয়ের ‘স্বপ্ন’ খানখান করে দেশের বিরোধী রাজনীতির প্রধান মুখ এখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবির, আর মোদি সরকারের রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে ভাঙা পায়ের একার লড়াই চর্চিত হচ্ছে গোটা দেশে। এমন একটা আবর্তে বাংলার নিজের মেয়েকে ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) ‘মুখ’ করে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে বিরোধী শিবির। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের খবর, এনসিপি, ডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরজেডি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, জনতা দল (এস)-এর মতো ইউপিএ দলগুলো তো বটেই, এমনকি তৎপরতা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেও। বিশেষ করে কংগ্রেসের ‘জি-২৩’ গ্রুপের তরফে এক প্রবীণ নেতা এ ব্যাপারে দৌত্য শুরু করেছেন। ওই অংশটি চাইছে, ইউপিএতে জোটবদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার চেয়ারপার্সন বা কনভেনার হোন মমতা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সোনিয়া-রাহুলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি অংশ দলে সংস্কার চেয়েছিল। তারাই জি-২৩। গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিবাল, শশী থারুর, মণীশ তেওয়ারি, রেনুকা চৌধুরী এবং মিলিন্দ দেওরার মতো কংগ্রেস নেতারা রয়েছেন এই গ্রুপে। তাঁদের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক সখ্যের বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর। তাঁকে ঘিরে বিরোধী শিবিরের একজোট হওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা যথেষ্ট গুরুত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে বিচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে কোভিড মোকাবিলাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি। তবে বিজেপি অপশাসনের বিরুদ্ধে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি একজোট হলে, তিনি যে সেই প্রক্রিয়াকে অবশ্যই স্বাগত জানাবেন, ঘনিষ্ঠ মহলে বারবার বলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই প্রেক্ষিতকে সামনে রেখেই গত ২৮ মার্চ দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলিকে চিঠি দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্বয়ং মমতাই।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউপিএ সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন মমতা। সেই ঘটনার আট বছর পরে সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার নেতৃত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গোটা দেশের বিরোধী শিবির যেভাবে মমতাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতাকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোটের যে বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়েছে, তার প্রধান কারিগর এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্র রাজনীতির পাওয়ার ম্যান গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে মমতাকে সর্বভারতীয় বিরোধী শিবিরের মুখ বানাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও মমতাকে প্রকাশ্যে সমর্থনে দিয়েছেন পাওয়ার। ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রির পর অভিনন্দনে ভরিয়েছেন ট্যুইটার। এম কে স্ট্যালিন, চন্দ্রশেখর রাও, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মেহেবুবা মুফতি, অখিলেশ যাদব, ওমর আবদুল্লার মতো নেতাদের সঙ্গেই সংযোজিত হয়েছে আর একটি নাম—উদ্ধব থ্যাকারে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত মে মাসে বিরোধীদের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো পরপর দু’টি চিঠি। সেই দু’টিকে ‘বিরোধী জোটের ট্রায়াল রান’ও বলছেন অনেকে। সবার জন্য ভ্যাকসিনের দাবিতে গত ২ মে পাঠানো প্রথম চিঠিতে সোনিয়া গান্ধী, শারদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধীদের সঙ্গেই সই করেছিলেন সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। শেষ চিঠি গিয়েছিল গত ১২ মে। সেখানেও সোনিয়া-মমতার সঙ্গে সই ছিল সিপিআই এবং সিপিএমের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, যে ১২টি দলের পক্ষে চিঠি গিয়েছিল, তাদের দখলে রয়েছে আটটি রাজ্য। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এই আট রাজ্যেই রয়েছে ২১৪টি। বাংলার ভোটের পর আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে বিরোধী শিবির, আর তা অবশ্যই মমতাকে ঘিরে। সূত্র : বর্তমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।