নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি লেগের ম্যাচে এ দুই দল সোমবার পরস্পরের মোকাবেলা করবে। কাতারের রাজধানী দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচকে ঘিরে বর্তমানে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও কাতারে। বাছাইয়ের প্রথম লেগের ম্যাচে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর কলকতার সল্টলেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত কোনোমতে ড্র করে মান বাঁচিয়েছিল। ওই ম্যাচের ৪২ মিনিটে সাদ উদ্দিনের দেয়া গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
লাল-সবুজদের জয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, ঠিক তখনই ম্যাচে সমতা আনে ভারত। ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে ভারতের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আদিল খান হেডে গোল করলে স্বস্তি ফিরে আসে সল্টলেকে। সময়ের হিসেবে দেড় বছর পর ফিরতি লেগের ম্যাচে নিরপেক্ষ ভেন্যু দোহায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এবার যেখানে খেলা হচ্ছে সেই কাতারের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন বাংলাদেশ ও ভারত লাখ লাখ মানুষ।প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে, কোন সমর্থকই ভিড়তে পারে না দলের কাছে। ফুটবলারদেরও নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে ম্যাচটি ঘিরে প্রবাসিদের উত্তেজনা পুরোটা বুঝতে পারছেন না তারা। তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের সঙ্গে অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করে ফুটবলারদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ম্যাচটির পর বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রবাসিদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ ঘিরে কেবল দু’দেশেই নয়, উত্তেজনার ঢেউ আছড়ে পড়ছে তৃতীয় দেশ কাতারেও। সব স্থানে একই আলোচনা বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কে জিতবে? বাংলাদেশের সমর্থকদের বিশ্বাস ভারতের বিপক্ষে কলকাতায় জ্বলে উঠতে পারলে দোহায়ও পারবেন জামাল ভূঁইয়ারা। এবার ড্র নয়, ভারতের বিপক্ষে জয়ই চান বাংলাদেশের সমর্থকরা।
অন্যদিকে ভারতের সমর্থকরা মনে করছেন সল্টলেকের হিসাব সুনীল ছেত্রিরা চুকাবেন জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে! ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দেশের পার্থক্য ৭৯ ধাপ। আলোচনায় এসব থোড়াইকেয়ার করছেন সমর্থকরা। এমনকি এগিয়ে থাকা ভারতও কোনোভাবে র্যাঙ্কিং দিয়ে দুই দলের শক্তির তুলনা করতে রাজি নয়। সুনিল ছেত্রি ও তার সতীর্থরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হবে।
কাগজ-কলমের শক্তিতে এগিয়ে ভারতই। যে কারণে, তাদের এগিয়ে রেখেই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়াকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে বলেছেন- পয়েন্ট পেলেই তিনি খুশি। কোচের মতো জামাল-তপুরাও আত্মবিশ্বাসী। তারা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে বলেই আশা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।