Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার পারটেক্সের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

গত বৃহস্পতিবার রান তাড়ায় অস্বাভাবিক মন্থর ধরনের ব্যাট করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল ওল্ড ডিওএইচএস। এবার তাদের বিপক্ষেই ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে অস্বাভাবিক মন্থর ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হেরেছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল ভোর থেকে নামা বৃষ্টিতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি পারটেক্স-ওল্ডডিওএইচএস ম্যাচ। পরে শুরু হলেও ম্যাচ নেমে আসে ১৫ ওভারে। কিন্তু পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা যেন তা ভুলেই গেল। ম্যাচে প্রথম ৭ ওভারে কেবল ২৮ রান তুললে ম্যাচে আর থাকে কী! শ্লথ ব্যাটিংয়ে তারা গড়তে পারল না লড়ার মতো স্কোর, ৪ উইকেটে মাত্র ৭৭। ছোট্ট রান তাড়ায় ২১ বল আগেই ওল্ড ডিওএইচএস জিতে গেল ১০ উইকেটেই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেরে খেলার বদলে ধরে খেলা শুরু করেন পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা। সকালে প্রবল বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পর উইকেট শুরুতে একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল বটে। শট খেলা ছিল না সহজ। তবে এতটা কঠিন উইকেটও নয় যে বলপ্রতি রান তোলা যায় না। আগের ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে ঝড় তুলা আব্বাস ম‚সা আলভি নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। এবার ১৭ রান করতেই তার লেগে যায় ২১ বল! তাসামুল হক ১৮ করে ২৫ বল খুইয়ে। প্রথম ৭ ওভারে আসে কেবল ২৮ রান! এক পর্যায়ে পঞ্চাশ পেরুনো নিয়েই জাগে শঙ্কা। অথচ উইকেট তখন বাকি অনেকগুলোই। মিরপুরের সকালের উইকেট থাকে একটু মন্থর, রান করা হয় কঠিন। তবে ১৫ ওভারের ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে তেঁড়েফুড়ে খেলাটাই স্বাভাবিক। পারটেক্সের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা যায়নি হেলদোল। ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে ৩০ রান এসেছে ৭ বলে। বাকি ৮৩ বলে রান অতিরিক্তিসহ ৪৭!
পরে রোদ পেয়ে আরেকটু সহজ হয়ে আসা উইকেটে ওল্ড ডিওএইএসের দুই ওপেনার রাকিন আহমেদ ও আনিসুল ইসলাম ইমনই শেষ করে আসেন কাজ। রান তাড়ায় আবাহনীর বিপক্ষে শ্লথ ব্যাট করা ডিওএইচএস ওপেনাররা এবার খেলেছেন সাবলীলভাবে। রাকিন ৩৬ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। ইমন ৩৩ বলে করেন ৩৩ রান। এই ম্যাচের আগে দুই ম্যাচে জয়হীন থেকে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল এই দুই দল। প্রথম জয়ে ডিওএইচএস উঠে গেল একটু ওপরে। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় পায় ওল্ড ডিওএইচএস। টানা তৃতীয় হারের স্বাদ পায় পারটেক্স।
এই মাঠেই একটু পরে শুরু হওয়া ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা দেখিয়েছে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়। শুরুটা হয়েছিল ছোট্ট একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলা আলাউদ্দিন বাবু। পরে তার হাত থেকে সহজ ক্যাচ ফেলে পাওয়া জীবন নিয়ে আরও একবার আবাহনীকে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দিলেন মুশফিকুর রহিম।
লিগের বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ উইকেটে হারিয়ে আবাহনী লিমিটেড ধরে রাখল জয়ের ধারা। ১১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আলাউদ্দিন ও জাহিদুজ্জামানের দুর্দান্ত দুটি ক্যামিওতে ব্রাদার্স তোলে ১০১ রান। আবাহনী সেই চ্যালেঞ্জ টপকে যায় ৭ বল বাকি রেখে। ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীর তিন ব্যাটসম্যানই রাখেন উল্লেখযোগ্য অবদান। ঝড়ো স‚চনায় রান তাড়ায় গতি এনে দেন মুনিম শাহরিয়ার। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুশফিকের জুটি শেষ করে ফেরে কাজ। আবাহনীর এটি টানা তৃতীয় জয়। মুশফিক বড় অবদান রাখলেন দুটিতেই। এটির আগে প্রথম ম্যাচে বৃষ্টিবিঘ্নিত রান তাড়ায় সেরা হয়েছিলেন আবাহনী অধিনায়ক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পারটেক্স
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ