বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কড়ইবুনিয়া গ্রামের শাহজাহান কবিরাজ (৫৫) নামে এক শারিরিক প্রতিবন্ধী কৃষককে কুপিয়ে হত্যার পর একই গ্রামের মোশারেফ মোল্লার পরিত্যক্ত পুকুরে লাশ ফেলে রাখে খুনিরা। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ৪ সৎ ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। লাশ অর্ধ গলিত হওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে ২ দিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রাখে।

জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের কড়ইবুনিয়া গ্রামের মফেজ উদ্দিন কবিরাজের ছেলে শাহজাহান কবিরাজের সাথে ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে সৎ ভাই মজিদ কবিরাজ, স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ ও আলামিন কবিরাজের সাথে ৩ বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। ধারনা করা হচ্ছে, বিরোধীয় এই জমির রেশ ধরে শাহজাহান করিাজকে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা করে লাশ বাড়ি থেকে ২শ মিটার উত্তরে মোশারেফ মোল্লার পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে রাখে। স্থলীয়রা শনিবার সকালে লাশ ভাসতে দেখে আমতলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) সুকুমার সরকারের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি (তদন্ত) সুকুমার সরকার জানান, শাহজাহান কবিরাজের মাথার পিছনে ৩টি এবং ঘাড়ে ১টি ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তিনি আরো জানান, লাশ কিছুটা গলে যাওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হত্যা করে খুনিরা লাশ পানিতে ফেলে রাখে।

নিহতের ছেলে মাঈনুদ্দিন কবিরাজ জানান, আমার বাবা শারিরিক প্রতিবন্ধী ছিল। তার সাথে আমার ৪ সৎ চাচা মজিদ কবিরাজ, স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ ও আলামিন কবিরাজের সাথে ৩ বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। ধারনা করা হচ্ছে তারাই আমার বাবাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রেখেছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৪ সৎ ভাই মজিদ কবিরাজ, স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ ও আলামিন কবিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শাহজাহান কবিরাজ খুন হতে পারে। তদন্তের পর খুনের আসল রহস্য জানা যাবে।