মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে। এবার যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যটিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার মন্দিরের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার যুক্তি দেখিয়ে গোরক্ষনাথ মঠ ও মন্দির লাগোয়া ১১টি মুসলিম পরিবারকে বাড়ি ও সম্পত্তি খালি করার নোটিস পাঠিয়েছে। জেলা প্রশাসন চাপ সৃষ্টি করে এই পরিবারগুলোকে চুক্তিপত্রে সই করিয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এল।
সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১০টি পরিবার গত ২৮ মে চুক্তিপত্রে সই করতে বাধ্য হয়। তবে বেঁকে বসেছে একটি পরিবার। যদিও এবিষয়ে গোরক্ষপুরের জেলাশাসক বীজেন্দ্র পান্ডিয়া বলেন, কাউকেই জোর করে চুক্তিপত্রে সই করানো হয়নি। চাইলেই তারা এই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। তবে চুক্তিপত্র মেনে সম্পত্তি খালি করলে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মন্দিরের ‘নিরাপত্তা’ রক্ষায় নতুন একটি পুলিস পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সূত্রেই মন্দিরের উত্তর-পূর্ব দিকে সদর এলাকার ১১টি পরিবারকে বাড়ি খালি করে উঠে যাওয়ার এই নোটিস দেয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, নোটিস পাওয়া ১১টি পরিবারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত।
কাজেই এই ইস্যুতে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গোরক্ষনাথ মঠ ও মন্দিরের প্রধান হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাপ তৈরির অভিযোগ উঠলেও এবিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ বেশিরভাগ পরিবারই। তবে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন জাভেদ আখতার নামে এক ব্যক্তি। তার বক্তব্য, সরকারের চাপের মুখে পড়েই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছি। বাকিরাও একই কারণে সম্পত্তি ছেড়ে উঠে যেতে রাজি হয়েছেন। রেলের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার আখতার বলেন, মন্দিরের ‘নিরাপত্তা’র অছিলায় আমাদের সম্পত্তি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে আমাদের বসবাস। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আগে থেকেই এই এলাকায় দু’টি থানা রয়েছে। এখানে আমাদের বসবাসের সঙ্গে মন্দিরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্পর্ক কী? সূত্র: দ্য কুইন্ট, ন্যাশনাল হেরাল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।