ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে একদশ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার ইতি টানেন স্কালোনি, ‘একাদশ ঠিক হয়ে গেছে। মার্তিনেস, ফয়থ, রোমেরো, মার্তিনেস কুয়ার্তা, তাগলিয়াফিকো, পারেদেস, ওকাম্পোস, দি পল, মেসি, ডি মারিয়া ও লাউতারো মার্তিনেসকে নিয়ে খেলব।’
গোলরক্ষক হিসেবে সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিলেন আরমানি। রক্ষণে খেলতে পারতেন গনসালো মনতিয়েল। কিন্তু রিভার প্লেটের দুই খেলোয়াড়েরই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এসেছে। তাই তাদের ছাড়াই দল সাজিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ, ‘ওরা দলের সঙ্গে আসতে পারছে না। তবুও আমরা শেষ পর্যন্ত আরমানি ও মনতিয়েলের জন্য অপেক্ষা করব।’
প্রথম পছন্দের গোলরক্ষককে না পাওয়ায় সুযোগ পাচ্ছেন অ্যাস্টন ভিলার হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চমৎকার একটি মৌসুম কাটানো এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
চিলির বিপক্ষে মোটামুটি নতুন চেহারার রক্ষণ নিয়ে খেলবে আর্জেন্টিনা। ২৮ বছর বয়সী নিকোলাস তাগলিয়াফিকো দলে নিয়মিত। ২৩ বছর বয়সী হুয়ান ফয়থ খেলেছেন কেবল ১১ ম্যাচ। অভিষেক হতে যাচ্ছে তার সম বয়সী ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর। ২৫ বছর বয়সী লুকাস মার্তিনেস কুয়ার্তা দেশের হয়ে খেলেছেন কেবল ৫ ম্যাচ।
ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়ালের হয়ে গত মৌসুম দারুণ কেটেছে ফয়থের। জুভেন্টাস থেকে ধারে আতালান্তার হয়ে খেলা রোমেরো জিতেছেন গত মৌসুমে সিরি ‘আ’র সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার, ‘অনুশীলনের পারফরম্যান্স দেখে আমরা দল সাজিয়েছি। ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর ক্ষেত্রে, সে দারুণ একটি মৌসুম কাটিয়েছে। এখন তার সময় খেলার এবং সামর্থ্য দেখানোর। হ্যাঁ, এটা ওর প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তবে ওর উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
ফয়থের ব্যপারেও স্কালোনি নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘হুয়ান ফয়থ অনেক উন্নতি করেছে, সেটা যেমন রক্ষণ তেমনি আক্রমণে। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে আমাদের রক্ষণের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা এনে দিতে পারে। তার উপর আমাদের আস্থা আছে।’
চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার রেকর্ড বেশ ভালো। দেশটির বিপক্ষে আগের ৮৭ ম্যাচের মধ্যে ৫৭টিতে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। হেরেছে ছয়টিতে, ড্র বাকি ২৪ ম্যাচ।
বাছাই পর্বে চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। চার ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে চিলি।