মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের লন ও বাগানে কাজে ব্যস্ত কাশ্মীরি মহিলাদের কার্যক্রম গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসকে ফোনে বলেছে যে, তারা কাশ্মীরি মহিলা এবং শিশুদের ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করতে ও নিরীক্ষণের জন্য বাদগাম জেলার সোয়বগ এলাকার বাগানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্থাপিত কিছু ক্যামেরা দেখতে পেয়েছিল। তারা বলেছে যে, এ পদক্ষেপ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ভারতীয় সেনারা তাদের মাতৃভূমিতে ভারতের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রামে লিপ্ত কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে কাশ্মীরি মহিলা এবং শিশুদের ভিডিও এবং ছবি তুলছে।
আইআইওজেকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতীয় সেনারা কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে দমন করার জন্য প্রতিটি নৃশংস পদ্ধতি প্রয়োগ করছে এবং ভারত থেকে স্বাধীনতার দাবিতে শাস্তি দেয়ার জন্য তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে।
পূর্বের কেএমএসের এক প্রতিবেদনে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইআইওজেকে নিরীহ যুবকদের হত্যার পাশাপাশি সেনাবাহিনী ক্রমাগত কাশ্মীরি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে।
তারা বলেছিল যে, শোপিয়ানের জান মহল্লা এলাকায় সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে যখন সেনাবাহিনী একটি কর্ডোন ও তল্লাশি অভিযানের সময় একটি মসজিদ ও পবিত্র কোরআনকে ক্ষতিগ্রস্থ ও অবমাননা করেছিল। তারা বলেছিল যে, শোপিয়ানে সৈন্যদের পবিত্র কুরআন ও মসজিদের অবমাননা কাশ্মীরি মুসলমানদের পক্ষে অসহনীয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, ভারতীয় সেনারা গত সাত দশক ধরে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
তারা বলেছিল, ‘১৯৯৯ সালের মে মাসে চারার-ই-শরীফ মাজার পুড়িয়ে দেয়া, ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে সবচেয়ে খারাপ সামরিক অবরোধের সময় দরগা হযরতবালের অপমান এবং ১৯৮৯ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানের সময় জামিয়া মসজিদ শ্রীনগরের পবিত্রতা নষ্ট এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ইসলামী কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলি। ‘মোদি পুরো ভারতে এবং বিশেষত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে বাবরি মসজিদের মতো দৃশ্য মঞ্চায়ন করতে চান। মোদি ব্রিগেড একটি প্রাক-ইসলামী যুগ ফিরিয়ে আনার এবং অধিকৃত অঞ্চলে একটি প্রধান হিন্দু সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিজেপি এবং আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, কাশ্মীরে ৫০ হাজার মন্দির নির্মিত হবে’।
তবে, তারা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে, সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং আরএসএস কাশ্মীরি মুসলমানদের ভয় দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।