নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গুঞ্জনটা শোনা গিয়েছিল সপ্তাহ দুয়েক আগেই। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছিল বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে আইসিসি। গতকাল সেই গুঞ্জনকে আইসিসি বাস্তবে রূপ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ও ২০২৭ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাড়বে দলের সংখ্যা। বাতিল করে দেওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফিরিয়ে আনার ঘোষণাও দিয়েছে আইসিসি।
গতকালই ২০২৪ সাল থেকে ২০৩১ সালের সূচি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে আইসিসি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি বছরই থাকছে আইসিসি ইভেন্ট। আট বছরের চক্রে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করবে আইসিসি। ২০২৭ ও ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ১৪ দলের। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা কমিয়ে ১০টি করে আইসিসি। ২০২৩ বিশ্বকাপটাও হবে ১০ দলের। দলের সংখ্যা কমানোয় কম সমালোচনা হয়নি আইসিসির। আইসিসি জানিয়েছে, ২০২৭ ও ২০৩১ সালে বিশ্বকাপ অনুসরণ করবে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের কাঠামো। দুই গ্রæপে ভাগ হয়ে প্রথম পর্ব খেলবে ১৪টি দল। প্রতি গ্রæপের শীর্ষ তিনটি দল উঠবে সুপার সিক্সে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। সব মিলিয়ে ম্যাচ হবে ৫৪টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্ব আসরে এখন খেলে ১৬টি দল। এ বছরের এবং পরের বছরের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে ১৬ দলকে নিয়েই। তবে ২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালে ২০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলবে ২০টি করে দল। প্রথম পর্বে চার গ্রæপে ভাগ হয়ে খেলবে ২০ দল। প্রতি গ্রæপে দল থাকবে পাঁচটি। গ্রæপের শীর্ষ দুই দল উঠবে সুপার এইটে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে। ১৯৯৮ সাল থেকে চালু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুই বছর পরপর আয়োজন করলেও ইংল্যান্ড আসরের পর প্রায় বন্ধ হতে চলেছিল এ টুর্নামেন্টটি। ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করার কথা থাকলেও সেটির পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। দীর্ঘ ৮ বছর পর ফিরেছে সেটিও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে। আগের মতোই আটটি দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে খেলবে প্রথম পর্বে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাশাপাশি আছে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও।
এর আগে গত ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে মেয়েদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সংখ্যা ও সেসব টুর্নামেন্টে দলের সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল আইসিসি। সেই পরিকল্পনা মতে ২০২৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আটটি দল খেললেও ২০২৯ বিশ্বকাপে খেলার কথা ১০টি দলের। ২০২৬ সাল থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়বে দুটি। এখন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলে ১০টি দল। ২০২৭ সালে থেকে মেয়েদের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপ চালুর পরিকল্পনাও করেছে আইসিসি। ৬ দলের ওই টুর্নামেন্ট হবে চার বছর পরপর।
এদিকে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন জোরালো হচ্ছে। আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে অধিকাংশ বোর্ড সদস্যদের চাওয়া এমনই। করোনাভাইরাসের এ কঠিন পরিস্থিতিতে আসর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরানোর পক্ষে তারা। তবে সহ আয়োজক হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ ওমানকেও পরিকল্পনায় রেখেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।