Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিতর্কের মুখে কারণ ব্যাখ্যা সউদীর

মসজিদে মাইক ব্যবহার সীমিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

গত ২৩ মে সউদী আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গোটা মরুদেশে জারি করেন একটি সার্কুলার। যাতে বলা হয় দেশটির সব মসজিদে মাইকের আওয়াজ এক-তৃতীয়াংশ রাখা এবং আজান ও ইকামত ছাড়া ব্যবহার না করার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। এই ঘোষণায় দেশটিতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সে কারণে সোমবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়।

সউদীর ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখ এই সার্কুলার ঘোষণা করে বলেছিলেন, তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ দেশের জনগণ। বিভিন্ন মহল থেকে আসা প্রতিক্রিয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে দেশ। তিনি জানান, মসজিদের আজানের উচ্চ শব্দ নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে অনেক বাবা-মা আছেন, লাউডস্পিকারের শব্দে তাদের শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে এর পর চুপ করে থাকেননি দেশটির রক্ষণশীল মুসলিমরা। তাদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন শুরু করে। তাদের দাবি মসজিদের মাইকে যদি কিছু মানুষের অসুবিধা হয় তবে রেস্তোঁরা ও ক্যাফেগুলিতে যখন উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়, সেগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এই নিয়ে একটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড হতে শুরু করে। এর পর বহু প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো একটি ভিডিওতে বক্তব্য রেখে লতিফ আল শেখ বলেছিলেন, যারা প্রার্থনা করতে চান তাদের ইমামের নামাজের জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। সোশ্যাল মাধ্যমে যারা এই আন্দোলন করেছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা আসলে ‘দেশের শত্রু’।

সউদীর ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সালমান সউদী আরবকে বিশ্ব দরবারে আরও উদারপন্থী দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই জনগণ যেটা বেশি চাইছেন সেই দিকে তিনি লক্ষ্য রাখছেন। কিছু সামাজিক নিষেধাজ্ঞাগুলিকে তিনি উঠিয়ে দিয়েছেন, যেমন দেশে মহিলারা গাড়ি চালাতে না পারার উপর নিষেধাজ্ঞা তিনি উঠিয়ে দিয়েছেন। প্রিন্সের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন, তাদের গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা হয়েছে। তবে মসজিদে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সার্কুলার দেশের অন্দরে ফের ধর্মীয় জটিলতা সৃষ্টি করেছে। সূত্র : আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • কাওসার আহমেদ ২ জুন, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 2
    ভালো সিদ্ধান্ত
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Malek ২ জুন, ২০২১, ৬:৩০ এএম says : 2
    এইভাবেই পুরো বিশ্বের শিক্ষা নেওয়া উচিত সৌদি আরবের কাছ থেকে
    Total Reply(0) Reply
  • Lutfor Rahaman ২ জুন, ২০২১, ৬:৩২ এএম says : 1
    উচ্চস্বরে শুধু আজান ছাড়া সব কিছুই বন্ধ করা প্রয়োজন। যেমন গান- বাজনা, সিনেমা, টিভি এবং অনেকের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চস্বর। এগুলো বন্ধ হলে শব্দ দূষণ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Hakim ২ জুন, ২০২১, ৬:৩২ এএম says : 2
    এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল। মাইকে উচ্চ শব্দে ধর্মীয় কাজ করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।এবাদত হচ্ছে শুধুমাত্র মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য কিন্তু সেটি করতে গিয়ে অন্যকে বিরক্ত করা মোটেই ইসলাম সমর্থন করেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohan Khondoker ২ জুন, ২০২১, ৬:৩৪ এএম says : 1
    বাংলাদেশেও সব ধরণের মাইকের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করার সময় এসেছে। বিশেষ করে মসজিদের পাশে যাদের বাড়ি তাদের অবস্থা সবচেয়ে কষ্টকর।
    Total Reply(0) Reply
  • M Islam Shawon ২ জুন, ২০২১, ৬:৩৫ এএম says : 1
    এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) নির্দেশ আমরা মনে হয় ভুলে গেছি। আমরা শুধু আওয়াজ বাড়িয়েই চলেছি। মনে হয় যেন, শব্দ যত জোরে হবে সওয়াবও তত বেশী হবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Mh Misu ২ জুন, ২০২১, ৬:৩৬ এএম says : 2
    বাংলাদেশেও এমন করা উচিৎ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ibrahim ২ জুন, ২০২১, ৬:৩৬ এএম says : 2
    যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশেও এটা খুবই জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • Masud Miah ২ জুন, ২০২১, ৬:৩৭ এএম says : 2
    সৌদি আরবে সম্পুর্ণ কোরআন হাদিসের সংবিধানে চলে শব্দ কম ব্যাবহার করতে বলিয়াছে এতে দোষের কিছুই নেই বাচ্চা অসুস্থ রোগীর জন্য আর ইসলামে কোন জোরজবরদস্তি নেই মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলাম সমার্থন করেনা
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুজ্জামান ২ জুন, ২০২১, ৬:৪০ এএম says : 2
    বিষয়টা সুন্দর কারণ দীর্ঘক্ষণ অতি উচ্চ মাত্রার শব্দ বাচ্চা এবং ঘুমন্ত মানুষের জন্য খারাপ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নুরুল আমিন ২ জুন, ২০২১, ৬:৪২ এএম says : 2
    মাইক বা শব্দযন্ত্র আবিষ্কারের আগে মানুষ আজান, নামাজ, ওয়াজ-জিকির ইত্যাদি নিজের কণ্ঠ ব্যবহার করেই করতো। বর্তমানে মাইক ছাড়া এর কোনোটাই চলে না। মোবাইল নিয়েও একই কথা। দেশে বিদেশে বহু আলেম এখন মোবাইল ব্যবহারের মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে কিতাব লিখছেন। বাংলাদেশেও বহু বই লেখা হয়েছে। মাইকের ব্যবহার নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়ে থাকে। তারপরও বহুলোক এলেম না থাকার কারণে মাইক ব্যবহারের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশনা পালন করতে পারে না। আমি মনে করি সৌদি আরব যে যুক্তিতে মাইক ব্যবহার সীমিত করেছে তা শতভাব যুক্তিসঙ্গত।
    Total Reply(0) Reply
  • Moshiur Rahman ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৩ এএম says : 2
    ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। সেখানে যদি দীর্ঘক্ষণ মাইকে ওয়াজ করা হয় তাহলে ঢাকায় ব্যাপক শব্দদূষণ হবে, এতে করে অসুস্থ রোগী, শিশুসহ অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাই বাংলাদেশেও এরকম করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • আবু দাউদ মুন্সি ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৩ এএম says : 2
    যত্রতত্র মাইক ব্যবহার করা হলে যেখানে অল্প মানুষ, তারা সেখানেও বেশি মানুষের সমান শব্দ তৈরি করে। যে আলোচনা মসজিদ বা হলরুমে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত, তা দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত ও অমনোযোগী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য খামাখাই পাড়ায়, মহল্লায় মার্কেট ও রাজপথে লাউডস্পিকার দিয়ে বিকট শব্দের সৃষ্টি করে। যার একটি কথাও কেউ কোথাও বসে মনোযোগ দিয়ে শুনে কি-না সন্দেহ। তবে হাজারও মানুষ শব্দদূষণের শিকার হয়। ধর্মীয় বিষয় বলে কেউ কিছু বলে না। মনে করে এটাই নিয়ম। কিছু বললে গোনাহ হয় কি না! তাছাড়া সামাজিকভাবেও নিগৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ ইসলাম এসব সমর্থন করে না। ধন্যবাদ সৌদি আরবকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। আমাদেরও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির তালুকদার ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৪ এএম says : 2
    অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে কোরআন তেলাওয়াতরত ব্যক্তিকে সালাম না দেওয়া, জরুরি আলোচনায়রত মানুষদের সালাম না দেওয়া, খানা খাওয়া অবস্থায় কাউকে সালাম না দেওয়া, গভীর চিন্তামগ্ন মানুষকে সালাম না দেওয়া, জিকির বা অজিফা পাঠরত মানুষকে সালাম না দেওয়া, জুমার দিনে নামাজ ও খুতবা চলাকালে মুসল্লিদের সালাম না দেওয়া শরীয়তের বিধান। সেখানে ব্যক্তিগত হাজারও কাজে নিমগ্ন মানুষের কানের কাছে ১০টি ২০টি মাইক বেঁধে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়াজ শুনতে বাধ্য করা কতটুকু যৌক্তিক তা উদ্যোক্তাদের ভেবে দেখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল হোসেন ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৪ এএম says : 1
    মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো আয়োজন ইসলামি শরীয়ত কোনোদিন সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত ও শরীয়তের জনকল্যাণমূলক নীতি এসব বিষয়ে পরিমিতি সংযম ও শান্তির পক্ষে। একজন হৃদরোগীর কষ্ট বিবেচনা করে, কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অসুবিধা বিবেচনা করে মাইক বন্ধ রাখা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে। তাই আমার মতে সৌদি আরব অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কাজ করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুর রহিম ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৬ এএম says : 1
    একটি মসজিদ যতদূর এলাকার মুসল্লিকে কভার করে, এরচেয়ে দূরে এই মসজিদের মাইকের আওয়াজ পৌঁছানো কতটুকু জরুরি তা মসজিদ কমিটিকে ভাবতে হবে। মিনার বা ছাদে কিংবা পাশের ভবনে মসজিদ কমিটি যখন লাউডস্পিকার লাগান, তখন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, এ যন্ত্রটির সবচেয়ে কাছে যে ঘর বা বাড়িটি তাদের কাছে এর শব্দটি কতটুকু সহনীয়। দূরে যা সুমধুর খুব কাছে তা কষ্টদায়কও হতে পারে। বিশেষ করে নবজাতক, ছোট্টশিশু, বৃদ্ধ, হৃদরোগী, অন্যান্য রোগী, শ্রমক্লান্ত মানুষ বা ইবাদতরত ব্যক্তি এ আওয়াজটি কিভাবে নিচ্ছে। সারা শহরের বা দূর পল্লীর সব মসজিদ যদি নিজ প্রয়োজন পরিমাণ আওয়াজে দ্বীনি কাজ সারে। যদি ওয়াজ মাহফিলগুলো দুনিয়াবি অন্যান্য প্রোগ্রামের সঙ্গে পাল্লা না দিয়ে নিজের নীতি নিয়ম মেনে সংযত উপায়ে মাইকের ব্যবহার করে, তাহলে এসবের রহমত-বরকত ও ফলাফল আশানুরূপ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • হাসান সোহাগ ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৭ এএম says : 1
    কাছাকাছি অনেকগুলো মসজিদের একসাথে মাইকে আলোচনা চলতে থাকলে কোনটাই ভালোভাবে বুঝা যায় না, এতে শব্দদুষণ ছাড়া আর কিছুই হয় না। তাই মসজিদের মাইকে শুধু আজান দিলেই সবচেয়ে ভালো হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • গিয়াসউদ্দীন একরাম ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৭ এএম says : 1
    আজান ছাড়া মসজিদের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব জায়গায় অকারণে উচ্চস্বরে মাইক বা লাউডস্পিকার বাজানো হয় সেসব কিছু বন্ধ করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আফসিয়া তামান্না অন্তরা ২ জুন, ২০২১, ৬:৪৯ এএম says : 1
    সারারাত মাহফিল’ ও ‘অতিরিক্ত মাইক’ নিয়ে অনেক মানুষই নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কিছু বলতে পারেন না। মসজিদ, হেফজখানা, মাদরাসা, স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকা বিবেচনা না করে গায়ের জোরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান-বাজনা, বিভিন্ন দিবস পালন করা এদেশে রেওয়াজ আছে বটে তবে ধর্মের ব্যাপারে যেন এমন অসাবধানতা কেউ না করতে পারে, এ ব্যাপারে সমাজের সচেতন ব্যক্তি, উলামায়ে কেরাম, ইমাম-খতিব সাহেবান সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। ধর্মীয় কাজে সীমিতভাবে মাইক ব্যবহার করাই উত্তম বলে মনে করি। আর আজান ও ইকামত ছাড়া মসজিদের মাইক ব্যবহার কোনো ভাবেই ঠিক না।
    Total Reply(0) Reply
  • গোলাম মোস্তফা ২ জুন, ২০২১, ৬:৫১ এএম says : 1
    অনেক বাড়িতে বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী থাকে, তাদের জন্য দীর্ঘক্ষণ মাইকে ওয়াজের শব্দ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ওয়াজ এভাবে মাইকে না করে ঘরোয়াভাবে মানে মসজিদের মধ্যে কম আওয়াজে করা যেতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ