মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। রক্ষণশীল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফাতলি বেনেট জোট সরকার গঠনের জন্য ইয়ায়ির লাপিদের সাথে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। ফলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনকাল অবসান হওয়াটা এখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১২০ আসনবিশিষ্ট ইসরাইলি পার্লামেন্টে ইয়ামিনা পার্টির রয়েছে ছয়টি আসন।
বেনেট রোববার তার নিজের দল ইয়ামিনা পার্টির সাথে এক বৈঠকের পর বলেন, আমার লক্ষ্য আমার বন্ধু ইয়ায়ির লাপিদের সাথে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা। একসাথে আমরা দেশকে ঘূর্ণিপাক থেকে রক্ষা করতে পারব, ইসরাইলকে তার গতিপথে ফিরিয়ে আনতে পারব।
মধ্যপন্থী লাপিদকে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১.৫৯টার মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন বেনেটের ঘোষণার ফলে নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনকাল শেষ হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায় সম্পন্ন হলো।
বেনেট বলেন, তিনি দেশকে মাত্র দুই বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন থেকে রক্ষা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
বেনেটের এই ঘোষণার কয়েক মিনিট পর নেতানিয়াহু তার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই পরিকল্পনা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য বিপদ।
তিনি ইসরাইলি ডানপন্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য বেনেটকে অভিযুক্ত করে তার ভাষায় বামপন্থী সরকারে যোগ না দিতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
বেনেট একসময়ে নেতানিয়াহুর মিত্র হলেও এখন তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, ডানপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না।
ইসরাইলে গত দুই বছরে চারটি নির্বাচন হলেও নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করার মতো আসন সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে এবারো সরকার গঠন করা সম্ভব না হলে আবার নির্বাচন অবধারিত ছিল।
তবে নেতানিয়াহুবিরোধী জোটও হবে ভঙ্গুর। এই জোটের শরিকদের মধ্যে নেতানিয়াহুবিরোধী অবস্থান ছাড়া গুরুত্বপুর্ণ প্রায় সব বিষয়েই ভিন্নমত রয়েছে। তাছাড়া এই জোটের বাইরে থেকে ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তারা আবার বেনেটের অ্যাজেন্ডার বিরোধী। উল্লেখ্য, বেনেট অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিন ভূমিতে ইসরাইলি দখলদারিত্ব জোরদার করার পক্ষপাতী।
তবে এই সরকারের প্রধান কাজ হবে কোভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। তারা সম্ভবত সমাজে ধর্মের ভূমিকা, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রগঠনের দাবির মতো বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো পাশে সরিয়ে রাখবেন।
অন্যদিকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গ্যানাইজেশন (পিএলও) বেনেটকে মনে করে নেতানিয়াহুর মতোই উগ্র। বেনেটের ঘোষণার পর পিএলওর এক কর্মকর্তা বলেন, বেনেটের উপস্থিতি গড়া সরকার হবে উগ্র ডানপন্থী। নেতানিয়াহুর প্রশাসনের চেয়ে তা কোনোভাবেই ভিন্ন হবে না। সূত্র : আল জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।