নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি আগেও জিতেছেন পেপ গার্দিওলা। তাও ১০ বছর আগে বার্সেলোনার হয়ে। এবার এই স্প্যানিশ কোচ খুব করে চেয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রথমবারের মতো ট্রফি এনে দেবেন। কিন্তু ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালে চেলসি তা হতে দিলো কোথায়! টমাস টুখেলের ট্যাকটিসের কাছে হেরেই গেলো গার্দিওলার দল। ম্যান সিটিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারে মতো ইউরোপ সেরার মুকুট জিতলো চেলসি। কাই হাভার্জের জয়সূচক গোলে চেলসির ঘরে এসেছে ট্রফি।
ম্যানচেস্টার সিটি এবার ইংলিশ লিগ ছাড়াও জিতেছে ইএফএল বা কারাবাও ট্রফি। বিপরীতে চেলসি লিগে হয়েছে চতুর্থ। মাঝে দলটির দায়িত্ব নিয়ে টুখেল জাদু দেখাতে থাকেন। খারাপ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলে একপর্যায়ে নিয়ে যান। ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটিকে আগেও হারিয়েছেন। এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের জিততে দেননি।
গার্দিওলার ট্যাকটিসের বিপরীতে টুখেল নিজের কারিশমা দেখান। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তা ধরে রেখে ট্রফি জয়ের উল্লাসে মাতিয়েছেন সমর্থকদের। পর্তুগালের পোর্তোর দ্রাগাও স্টেডিয়ামে দুই দলের ১২ হাজার দর্শক খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছে। প্রথমার্ধে বল দখল ম্যানচেস্টার সিটি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে কিন্তু চেলসির আধিপত্য। টিমো ভার্নার একাধিক সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
১০ মিনিটে চেলসির ভার্নার বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নিতে পারেননি। ৪ মিনিট পরই ভার্নারের আরও একটি শট গোলকিপার মোরালেস তালুবন্দি করেন। যদিও ম্যান সিটি ২৭ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ফোডেন ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। ডিফেন্ডার রুডিগার ক্লিয়ার করেন।
৩৯ মিনিটে থিয়াগো সিলভা চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যান। কিন্তু তাতেও চেলসির ডিফেন্স নড়বড়ে হয়নি। বরং ৪২ মিনিট এগিয়ে যায় বøুজ। মধ্যমাঠ থেকে ম্যাসন মাউন্টের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে কাই হাভার্জ আগুয়ান গোলকিপারকে কাটিয়ে দেখেশুনে বাঁ পায়ে জাল কাঁপান।
১-০ গোলে স্কোরলাইন রেখে বিরতির পর ম্যান সিটি ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ৫৯ মিনিটে ডি ব্রইনে চোটের কারণে মাঠের বাইরে গেলে দল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছুক্ষণ পরই তাদের একটি পেনাল্টির দাবি অগ্রাহ্য হয়েছে।
২-০
৬৮ মিনিটে মাহরেজের ক্রসে লক্ষ্যে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। ৭৩ মিনিটে চেলসি প্রতি আক্রমণে উঠে। বদলি পালিসিকের শট দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি। শেষ পযন্ত কিছুটা পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করে খেলা চললেও ম্যান সিটি গোল শোধ দিতে পারেনি। চেলসিও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। তাই তো রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই চেলসির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের আনন্দ-উল্লাস ছিল দেখার মতোই। আর না হওয়ার কারণও নেই। ইউরোপ সেরা যে এখন টমাস টুখেলের চেলসি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।